ছাত্রদলের দু’গ্রুপে হাতাহাতি-অস্ত্র প্রর্দশন

বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত ৩দিনের কর্মসূচির ২য় দিন মঙ্গলবারের শোক র‌্যালী এখানকার বিএনপির ছাত্রদলের ২ গ্রুপের মধ্যে অশ্র প্রদর্শনী ও হাতাহাতিতে রুপ নিয়েছে। এতে ছাত্রদলের কয়েক নেতা- কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ উভয় গ্রুপের ২ছাত্র দল কর্মীকে আটক করে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সম্পাদক বিসিসি’র সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামাল সমর্থক ছাত্রদল অশ্বিনী কুমার হল প্রাঙ্গন থেকে শোক র‌্যালী বের করে। র‌্যালীটি সদর রোড থেকে চকবাজার অতিক্রম করে ফের টাউন হলে আসে। ঠিক একই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড.মজিবর রহমান সরোয়ার সমর্থক ছাত্রদলও শোক র‌্যালী বের করে। সদর রোডস্থ রয়েল রেস্তোরার সামনে দু গ্রুপ মুখোমুখি হয়। এরই মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ব্যানার ধরে টান দিতে না দিতেই  দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ওই সময়ে কামাল সমর্থক ছাত্রদলের ক্যাডাররা ধাড়ালো অস্ত্র প্রর্দশন করে সরোয়ার সমর্থক ছাত্রদলকে ধাওয়া দেয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় জহিরুল ইসলাম ও রফিক নামের দুই ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে কামাল সমর্থক ছাত্রদলের ক্যাডারদের প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রর্দশনে সদর রোড ও তার আশপাশে ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগনের মাঝে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সরোয়ার সমর্থক ছাত্রদলের জেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক হাফিজ আহমেদ বাবলু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ন পরিবেশে কেন্দ্র ঘোষিত ২য় দিনের শোক র‌্যালী পালন করতে ছিলাম। এ সময় অর্তকিতভাবে কামাল সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র প্রর্দশন করে অতর্কিতভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় সরোয়ার সমর্থিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র দলের আহবায়ক মাসুদ হাসান মামুন, যুগ্ন আহবায়ক হাফিজ আহমেদ বাবলু, মাওলা রাব্বি শামিম, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক খন্দকার আবুল হাসান লিমন, যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল আহসান আনিচ, আরিফুল ইসলাম জনি, উলফৎ রানা রুবেল প্রমূখ।

অপরদিকে কামাল সমর্থক ছাত্রদলের মহানগর শাখার যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিপন এ ঘটনা অস্বিকার করে বলেন, র‌্যালীতে সরোয়ার সমর্থক ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছে।

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিএনপির দু গ্রুপ রয়েলের সামনে এসে মুখোমুখি হলে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা পাল্টা ধাওয়া ঘটে। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে।