নির্বাচনী জোয়ারে ভাসছে বান্দরবানের ২৮ ইউনিয়ন

জেলার ২৮টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীদের চোখে এখন ঘুম নেই। প্রচারণা চলছে রাতদিন। নির্বাচনে এবার জেলার ৭ উপজেলায় নতুন মুখ এবং শিক্ষিত তরুণরা প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে। তবে কিছু কিছু ইউনিয়নে পুঁজিপতিরা প্রার্থী হওয়ায় বাতাসে এখন টাকার গন্ধ। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই পুঁজিপতি প্রার্থীরা গ্রামে গ্রামে টাকা ছিটানোর অভিযোগও উঠেছে।
 
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ জুন বান্দরবানের ২৮ ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে তা শেষ হবে আগামী ২৮জুন। জেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৪ জন। এসব ভোটারের কাছে পৌঁছতে প্রার্থীরা এখন মরিয়া। এ জেলার ২৮ ইউনিয়নের ২৫৬টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবেন। এর মধ্যে আলীকদম উপজেলার দুর্গম পোয়ামুহুরী এলাকায় ১টি নতুন ভোট কেন্দ্র রয়েছে। জেলায় ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই বলে নির্বাচন অফিস সূত্রের দাবী। এবারে ১৬টি দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট মালামাল ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণে ব্যবহৃত হবে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিশেষ হেলিকপ্টার।

জেলার বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম, রোয়াংছড়ি, থানছি, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়ির ২৮টি ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগ, বিএনপি এবং পার্বত্য জনসংহতি সমিতির মনোনীত প্রার্থী রয়েছে। কিছু কিছু ইউনিয়নে উভয় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছে। এসব প্রার্থীদের অধিকাংশই নতুনমুখ। অধিকাংশ প্রার্থী শিক্ষিতও বটে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৯৫ শতাংশই হচ্ছেন বর্মতান চেয়ারম্যান। সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অনেকে আবার সামাজিকভাবে সচেতন নারী।

এবারের নির্বাচনে শিক্ষিত প্রার্থীর পাশাপাশি পুঁজিপতি প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। জেলার আলীকদম সদর ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বাসাতে এখন টাকার গন্ধ। পুঁজিপতি প্রার্থীরা রাত দিনে সমানে ভোটারদের নিজের অনুকুলে টানতে লাখ লাখ টাকা ছিটানোর অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে দুর্গম এলাকার দরিদ্র মুরুং ভোটারদের এরা নির্বাচনে বিজয়ে ‘তুরুপের তাস’ হিসেবে ব্যবহারের অলীক স্বপ্ন দেখছেন। এসব এলাকার পাড়া কার্বারীদের উপজেলা সদরে ডেকে এনে হাজার হাজার টাকায় কিনে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী।