এমপি আমু’র দলীয় শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান

ও সাবেক খাদ্য মন্ত্রী আলহাজ্জ এ্যাডভোকেট আমির হোসেন আমু’র নিজ ইউনিয়ন শেখেরহাট থেকে শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এ ঘটনার জন্য এমপির অদূরদর্শীতাকে দায়ী করেছেন। তারা বলেন, এমপি নিজে শেখেরহাট ইউনিয়নের সন্তান হলেও তার এলাকায় অন্য দলের লোকজন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এমনকি টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে দলের ত্যাগী নেতাকর্র্মীরা সুবিধা পাচ্ছেনা। এমপির কাছে আওয়ামী বিরোধীরা সব সময় গিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করে আসছে। বহুবার এ ঘটনায় এমপিকে বলার পরেও কোন সুরাহা পায়নি বলেও তারা অভিযোগ করেন। এছাড়া দলের লোকজন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্জ এ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনিরের কাছে অভিযোগ করলে তিনি এমপির নিজ ইউনিয়নের ঘটনায় নীরব ভুমিকা পালন করেন।

অতিসম্প্রতি তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচীকালে শতাধিক আওয়ামী নেতাকর্মী  বিএনপিতে যোগদান করলে এলাকায় ও দলের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরো অভিযোগ করেন, শেখেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান সুরুজ ও এমপির চাচাতো ভাই বাবু মিয়া কিছু বিএনপি ঘরানার লোকজনকে দিয়ে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করিয়ে আসছেন। ফলে দলীয় নেতাকর্মীরা কোনঠাঁসা হয়ে পড়েন।

জানাগেছে, শেখেরহাট আওয়ামীলীগ নেতা আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপির আদর্শ ও নীতি গ্রহন করে। শেখেরহাটে অপর একটি বিদ্রোহী গ্রুপ রয়েছে যারা এখনও এমপির দলে রয়েছে, কিন্তু তারাও অন্যদলে যাবার ঈঙ্গিত দিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমির হোসেন আমুর হয়ে রাজনীতি করে আসছি। কিন্তু তার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সুরুজের ভাই রুহুল আমিন খায়েরহাট ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেজে বিদ্যালয়ের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ সমস্যার সমাধানে এমপির সহযোগিতা চাওয়া হলেও তিনি কোন সুরাহা করেন নি। বর্তমানে ঐ বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসি অভিযোগ করেন।

এছাড়া ঐ ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড গঠনের ব্যাপারেও রয়েছে এলাকাবাসির চরম অভিযোগ।  প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যারা হত্যা, লুট, ধর্ষনসহ মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত ছিল তাদের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এসব অভিযোগ খোদ ইউনিয়ন কমান্ডার , সহকারী কমান্ডারের বিরুদ্ধে। এছাড়া ইউনিয়নে নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত কয়েকজন এমপি আমুর চাচাতো ভাই বাবু, চেয়ারম্যানের ভাই রুহুল আমিনসহ কয়েকজন অমুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।