মিজান অবৈধ মেলামেশা করে সপ্তম শ্রেণীর শিশু ছাত্রীকে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ২৬ মে শিশুটিকে এমআর করানোর পর থেকে পেটে ব্যথা ও রক্তক্ষরন হচ্ছে। বুধবার গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। গাইনী ওয়ার্ডে শিশুটি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, মিজানের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করার কারনে দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে দৈহিক নির্যাতন করা হত বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনা ফাঁস হবার পর প্রবাসী মিজান এলাকা থেকে উধাও হয়ে গেছে। শিশুটির পিতা কালাম হাওলাদার জানান, মিজান ও তাদের বাড়ি পাশাপাশি। কিছুদিন আগে সে সিঙ্গাপুর থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। তাকে আর্থিক সাহায্য এবং পড়াশুনার খরচ দেয়ার কথা বলে প্রায়ই জোড়পূর্বক তার মেয়ের সাথে গোপনে মেলামেশা করত। এতে সে ৫ মাসের অন্ত:সত্বা হয়ে পরে। সম্প্রতি তাকে বরিশালের একটি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে নিয়ে গোপনে এমআর করিয়ে আনে মিজান। তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল হাসপাতালে নেয়ার সময় মিজানের পরিবারের পক্ষ থেকে বাঁধা দেয়া হয়। বরিশালে না নেয়ার জন্য টাকা দেয়ার প্রস্তাবও দেয় তারা।
শিশুটির মা সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর থেকে ওর প্রচন্ড পেট ব্যাথা এবং রক্তক্ষরন শুরু হয়। তাই ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে এ ঘটনা জানায়। শুনেছি ঘটনার পর লম্পট মিজান ঢাকার গাজীপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছে। বরিশালের ডাক্তার জানিয়েছে, শিশুটির এমআর সম্পূর্ন না হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।
এব্যাপারে মিজান এর ব্যবহৃত ০১৯২১৮১৮৭৭৪ নাম্বারে ফোন করা হলে ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি রিসিভ করেন। মিজানকে চাওয়া হলে কারন জানতে চেয়ে নাম্বারটি মিজানের নয় বলে কেটে দেন।