বরিশাল মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

বুধবার রাতে সাড়ে ৯ টায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাস এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘সন্ধানী’র রক্তদান কর্মসুচির আয়োজনকারীদের চিহিৃত করতে গিয়ে নিজ দলীয় ছাত্রদের মধ্যে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

শেবাচিমের ৩৯ তম ব্যাচের ছাত্রলীগ নেতা রবিন্দ্র নাথ সরকার জানান, গত ৩০ মে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহামানের শাহাদাত বষির্কী উপলক্ষে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের সন্ধানী ইউনিটের সভাপতি জিসানের অনুমতিক্রমে একদল সদস্য নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলে সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখান থেকে ১৩ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহামানের শাহাদাত বষিকীতে সন্ধানী রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করায় ক্ষুদ্ধ হয় কলেজের ছাত্র কল্যান পরিষদের নেতৃবৃন্দ। আজ রাত সাড়ে ৯ টায় ছাত্রকল্যান পরিষদের সদস্য ও ৩৯ তম ব্যাচের ছাত্র কাইউম, জিয়াউর রহামান এবং ৩৮ তম ব্যাচের মোঃ মুন্না রক্তদান কর্মসুচির আয়োজনকারীদের চিহিৃত ও কার অনুমতিতে এ কর্মসূচি করা হয়েছে তা তদন্ত করতে যায় সন্ধানীতে। ছাত্রকল্যন পরিষদের কোন সিনিয়র নেতা না হয়েও কাইউম এ বিষয়ে তদন্ত করতে কেন এসেছে এ প্রশ্ন তুলে সেখানে উপস্থিত ছাত্রকল্যান পরিষদের ক্রীয়া সম্পাদক আনিছুর রহামান, রবি ও রাসেদ। তাদের সাথে এ নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পর্যায় আনিছ ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়াউর রহমানকে মারধার করলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এ সময় কাইউম ও জিয়া এবং মুন্না ৩ নম্বর ছাত্রাবাস থেকে রামদা ও হকিস্টিক আনার কথা বলেলে আনিচ ও রবীন্দ্রনাথ সরকার আতংকে ১ নং ছাত্রাবাসে কেসি গেট লাগিয়ে আত্মরক্ষার জন্য আশ্রয় নেয়। পরে কাইউম ও জিয়া আরো লোকজন নিয়ে সংঙ্গবদ্ধ হয়ে ১নং ছাত্রাবাসের কেসি গেট ভাঙ্গার চেস্টা চালায়। এসময় পুরো ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাস জুরে সাধারন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

রাত ১০ টার দিকে কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। একই সাথে ক্যাম্পাসে মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। রাতে আবারও সংঘর্ষের আশংকা করছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে ছাত্র কল্যান পরিষদের ভিপি মাসরেফুল ইসলাম সৈকত ও জি এম আওলাদুজ্জামান সৌরভ বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতার মধ্যে সামান্ন ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে উভয়কে ডেকে সমস্যা সমাধান করে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মে শিবিরের উপর হামলা আর এর ৩দিন পরই অধ্যক্ষের চেয়ার দখল নেয়ার ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত না হতেই আজ রাতে আবারও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতিতে আবারও বিতর্কের জন্ম দিল বরিশাল মেডিকেল কলেজের ছাত্র কল্যান পরিষদের নেতাকর্মীরা। মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ আবরার আহম্মেদ সাধ করে নির্বাচন ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাদের দিয়ে ছাত্র সংসদ স্টাইলে গঠন করেন ছাত্র কল্যান পরিষদ। এ সময়ও বিধি ভঙ্গ করে অধ্যক্ষের পরিবর্তে তিনি এ পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও নেন।