প্রশিক্ষিত মাষ্টার-ড্রাইভার ছাড়া লঞ্চ চলাচল

ড্রাইভার ছাড়া চলাচল করেছে এমএল টাইপের একাধিক লঞ্চ। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্যোগে বরিশাল নদী বন্দরের যাত্রী ছাউনীতে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বন্দর কর্মকর্তা ওয়াকিল নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র শওকত হোসেন হিরন।

সভায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে গন্তব্য ত্যাগ, বৈধ মাস্টার-ড্রাইভার ছাড়া লঞ্চ না চালানো এবং অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে না উঠতে যাত্রী, মাস্টার ড্রাইভার এবং লঞ্চ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এ সভা যখন চলছিল তখন সভাস্থল থেকে মাত্র কয়েক গজ দুরে একতলা লঞ্চ ঘাট থেকে প্রশিক্ষিত মাস্টার ড্রাইভার ছাড়াই বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায় বেশ কয়েকটি লঞ্চ। এর মধ্যে সকালে ছেড়ে যায় এমএল লাবন্য মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া, এমএল হায়াত বাহেরচর, দুপুরে এমএল পিনাক নুরায়নপুরের উদ্দেশ্যে।

পালতোলা-৩ লঞ্চের রাত্রীকালীন চলাচলের কোন অনুমতি নেই। অভিযোগ আছে নৌ ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের ম্যানেজ করেই সচরাচর চলাচল করে এসব লঞ্চ। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ পারভেজ মাস্টার-ড্রাইভার ছাড়া লঞ্চ চলাচলের কথা অস্বীকার করলেও নিয়ম উপেক্ষা করে রাত্রীকালীন একটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

বরিশালের অভ্যন্তরীন ১৭টি রুটে চলাচল করছে এমভি এবং এমএল টাইপের ৩৮টি লঞ্চ। এসব লঞ্চকে বছরে একবার সার্ভে সনদ নিতে হয়। সনদ নেয়ার সময় একজন দ্বিতীয় শ্রেনীর মাস্টার ঐ লঞ্চে কর্মরত আছে মর্মে দেখাতে হয়। এ সনদ নিয়েই কম বেতনে অদক্ষ কর্মচারী দিয়েই সারা বছর লঞ্চ চালিয়ে থাকেন বেশীরভাগ মালিক।

নৌ নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ পারভেজ জানান, আমরা যখন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে যাই তখন মাস্টার ড্রাইভার পাই। মাস্টার ড্রাইভার ছাড়া কোন লঞ্চ চলে না মর্মে রিপোর্ট দিয়ে থাকেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টররা। এ ধরনের কোন খবর পেলে তাকে জানানোর অনুরোধ করেন।