বাকেরগঞ্জে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।

গত ২৮ মে উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান সিকদারকে বহিস্কার করা হয়। ঐ স্থলে যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক করেন সভাপতি সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান।

এ ঘটনার পর ২৯ মে ঐ কমিটির সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে সভা করে নিজে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বনে যান। এ সংক্রান্ত শুভেচ্ছা পোস্টারও করেন নান্নু চৌধুরী।

গতকাল বুধবার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে নান্নুপন্থীরা। এ সময় সেখানে হামলা চালায় সভাপতি আবুল হোসেন অনুসারীরা। এক পর্যায়ে উভয় গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে কাজল, মনির হোসেন, সুমন, বাদল মলি¬ক, রফিক ও মোজাম্মেলসহ ১০ জন আহত হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় গ্র“পকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করে জানান, তাদের নিজেদের মধ্যে উত্তেজনা হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

হামলা ও মারামারির ঘটনার কিছুই জানেন না দাবি করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন জানান, উপজেলা কমিটির সভাপতি সক্রিয় থাকার পরও সহ-সভাপতি নান্নু চৌধুরী নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করছে। এমনকি এলাকায় পোস্টারও টাঙিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলার নেতারা তাকে (নান্নু) শোকজ করেছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু চৌধুরী জানান, আবুল হোসেন বিনা কারনে সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমানকে বাদ দিয়ে অনুগত মিজানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক করেছে। এরপর তারা নির্বাহী কমিটির সভা করেন। সভায় সর্বসন্মতিক্রমে তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। তারা জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা করছিলেন। এ সময় আবুল হোসেনের লোকজন তাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়।