নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধাঁরে যুবলীগ নেতার ঘর উত্তোলন

গ্রামের প্রভাবশালী এক যুবলীগ নেতা রাতের আধাঁরে জবর দখল করে এক ব্যবসায়ীর সম্পত্তিতে ঘর উত্তোলন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই গ্রামের হারুন-অর রশিদ মিয়ার পুত্র ব্যবসায়ী পান্না মিয়ার লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সুন্দরদী মৌজার বিভিন্ন দাগ ও খতিয়ানের দলিল ও ডিগ্রীমুলে ৯৪ শতক জমির মালিক তার পিতা হারুন-অর রশিদ। দীর্ঘ ৩০ বছর পর্যন্ত তারা ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি ওই জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা ছলেমান হাওলাদারের। অভিযোগে আরো জানা গেছে, ছলেমান ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ইতিপূর্বে একাধিকবার ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। উপায়অন্তুর না পেয়ে হারুন-অর রশিদ মিয়া ওই সম্পত্তির ওপর আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করান। আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও গত ১ জুন গভীর রাতে যুবলীগ নেতা ছলেমান হাওলাদার তার ৩০/৩৫ জন সহযোগী নিয়ে ওই সম্পত্তির ওপর জোড়পূর্বক ঘর উত্তোলন করেছে।

ব্যবসায়ী পান্না মিয়া তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে দখলকারী ছলেমান হাওলাদারকে উচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার আগের দিন রাতে ব্যবসায়ী পান্না মিয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাকে জানিয়েছেন আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সম্পত্তির ওপর ছলেমান হাওলাদার ঘর উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে। এ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক একজন এস.আই-এর নেতৃত্বে একদল ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরেরদিন রাতের আধাঁরে ঘর উত্তোলনের বিষয়ে এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযুক্ত ছলেমান হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জবর দখল ও ভূয়া কাগজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি হারুন মিয়া ও তার পুত্ররা এতোদিন অবৈধভাবে ভোগদখল করেছে। দখলিয় সম্পত্তির দখলদার মুক্ত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।