সাবেক এমপিকে ঘিরে বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য

অকাল মৃত্যুতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এ যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে আসেন। দীর্ঘ দিন পর তিনি গৌরনদী আসায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক স্বপনকে একনজর দেখার জন্য গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীরা ছুটে আসে। ফলে টিটু খাঁনের স্মরনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানটি বিশাল জনসমাবেশে পরিনত হয়। দোয়া মাহফিল শেষে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যবদ্ধ করে গণ-অন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারীরা কার স্বার্থ রক্ষা করছে, তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।

অপরদিকে, বিএনপি কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিঃ সোবাহান সমর্থক ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে স্বপনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

উল্লেখ্য ১/১১এর পর জহিরউদ্দিন স্বপন সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন। তখন তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সরাসরি দেখা করলে বিএনপি চেয়ারপার্সন তাকে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করার নির্দেশ দেন। স্বপন বিবৃতি দিয়ে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দলের সকল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

গত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ইঞ্জিঃ সোবাহান প্রায় তিরিশ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। নির্বাচন পরবর্তীকালে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লাগাতার প্রতিরোধের কারনে স্বপন ও তার সমর্থকদের বড় অংশ দলের কোন পর্যায়ের কমিটিতে ঠাই পায়নি। এক্ষেত্রে তাঁর দলীয় প্রতিপক্ষরা সংস্কারের ইস্যু টেনে স্বপনকে ও তার সমর্থকদের কোনঠাসা করার চেষ্টা করে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। সংগঠনের কার্যক্রম আনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনে ইঞ্জিঃ সোবাহান সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যাপক ভরাডুবি হয়। এমনকি তাঁর নিজের ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

অপরদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নে আবুল হোসেন লালটু গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নে বাবুল, সরিকলে মিলন স্বপন সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়। আন্যান্য ইউনিয়নেও স্বপন সমর্থকরা সম্মানজনক ভোট পায়। কার্যত ত্রিধারায় বিভক্ত বিএনপির মাঠ পর্যায়ে স্বপন সমর্থকরাই শক্তিশালী, তারা আগামীতে তাকেই (স্বপনকে) দলের নেতৃত্বে ও দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।