অবসান না হওয়ায় গত একমাস ধরে বন্ধ রয়েছে বরিশাল-পটুয়াখালী বরগুনা ও কুয়াকাটার সরাসরি বাস চলাচল। এতে করে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার দুই বাস মালিক সমিতি এবং শ্রমিকদের বিরোধের জের ধরে গত ১৩ মে থেকে বরিশালের কোন বাস পটুয়াখলী ও বরগুনা জেলা এবং পটুয়াখলী ও বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতির বাস বরিশালে আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। বরিশাল মালিক সমিতির বাস লেবুখালী ফেরীঘাটের এপার অর্থাৎ বরিশাল প্রান্তে এবং বরগুনা ও পটুয়াখালী মালিক সমিতির বাস লেবুখালী ফেরীঘাটের পটুয়াখালী প্রান্ত থেকে চলাচল করছে।
এ কারনে বরিশাল থেকে বরগুনা, পটুয়াখালী এমনকি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পায়রা নদীর দু’প্রান্তে নেমে অবর্ননীয় দুর্ভোগের মধ্যে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে মহিলা ও শিশু যাত্রীরা পড়ছে চরম বিপাকে।
সমস্যা সমাধোনে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন গত ২২ মে দুই মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ নিয়ে বৈঠক করলেও শেষ পর্যন্ত কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয় সভা। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি আর কোন উদ্যোগ। কবে নাগাদ এ বিষয়টি সমাধান হবে তাও অনিশ্চিত।
বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান শাহিন জানান, পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি অন্যায়ভাবে বরিশালের বাস চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করছিলো। তাই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বিভাগীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ মৃধা জানান, বরাবরই বরিশাল বাস মলিক সমিতি পটুয়াখালী মালিক সমিতিকে ঠকিয়ে আসছে। ন্যায্য দাবি আদায়ে তিনিও এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে সমঝোতার ভিত্তিতে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, বাউফল ও বরগুনা রুটে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির ২৫টি এবং পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির ১১টি বাস চলাচল করছিল। কিন্তু পটুয়াখালী বাস সমিতি ঐ রুটগুলোতে দুই মালিক সমিতির সমান সংখ্যক বাস চলাচলের দাবি তুললে এ বিরোধের সৃষ্টি হয়।