ভাতের হোটেলের পাশেই জালানি তৈলের দোকান। দূর্ঘটনার আশংকা

মাঝখানে একটি ভাতের হোটেল। একদিকে আগুন অন্যদিকে জ্বালানী তৈল। যা নিয়ে শঙ্কিত পাশ্ববর্তী দোকানের জ্বালানী তৈলের ব্যাবসায়ীরা। প্রতিবেশী দোকানদারদের মতে হোটেল বিসমিল্লাহ নামের এই ভাতের হোটেলটি জ্বালানী তৈলের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা। বিষয়টি হোটেল মালিক ওয়াকিবহল থাকলেও বিষয়টি তুচ্ছ মনে করে সমাধানের কোন পথ বের করতে নারাজ হোটেল মালিক গিয়াস উদ্দিন। তথ্যমতে, দীর্ঘ প্রায় ৬মাস পূর্বে মোঃ শামছু নামের এক ব্যক্তি লঞ্চঘাট এলাকায় ভাতের হোটেল দেয়। হোটেলটির পাশেই জ্বালানী তৈল তথা কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল, অকটোন, ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। যার মধ্যে সিকদার এন্ড কোং, আজিজ এন্ড কোং ও সাইফুল স্টোর উল্লেখযোগ্য। হোটেল দেয়ার পর থেকেই তৈল ব্যাবসায়ীরা দোকানটিকে উচ্ছেদের জন্য বহুবার দোকান মালিককে অভিযোগ করেছে। কিন্তু দোকান মালিক তাদের জানিয়েছেন মাঝখানে দেয়াল আছে ফলে কোন সমস্যা হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া বড় চিমটি দিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কারনে ধোয়া কিংবা কোন ধরনের ফুলকি আশপাশের তৈলের দোকানে পরার সম্ভাবনা নেই।

হোটেলটির ঝুকিপূর্নতা সম্পর্কে পার্শ্ববর্তী তৈল ব্যবসায়ী সিকদার এন্ড কোং এর গিয়াস উদ্দিন জানান, হোটেলটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন। যদিও হোটেল মালিক অত্যান্ত গরিব। কিন্তু কোন ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা যদি হোটেলটির কারনে ঘটে তবে এর জন্য দায়ী হবে কে? আজিজ এন্ড কোং এর আজিজুর রহমান বলেন, আমরা শুরুতেই নিষেধ করেছি। কিন্তু আমাদের কথায় হোটেল মালিক র্কনপাত করেনি। তবে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনিও মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে হোটেল মালিক শামছু খানকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, ভাই আমি গরিব মানুষ। খুব কষ্টে দোকান দিয়েছি। আমি খুব সর্তকতা অবলম্বন করে রান্না-বান্নার কাজ করছি। আল্লাহ’র ইচ্ছায় কোন ধরনের ক্ষতি হবেনা। কারন মাঝখানে বাউন্ডারি দেয়াল আছে।