তিনি বাংঙালীদের ছোট সাইজ!

তার গালের নিচে যা গোশত থাকতো তা আমাদের অনেকের শরীরেরও হয়তোবা হইতোনা । বিরাট দেহী শের ই বাংলা তিনি। তিনি একবার লন্ডন গিয়েছিলেন। সবাই তাকে দেখে অবাক ।শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক তাকে জিগ্গাস করা হলো যে আপনি কি বাংঙালীদের ছোট সাইজ না বড় সাইজ। তিনি বলল আমি বাংঙালীদের ছোট সাইজ।

বাঙ্গালী জাতি যে কয়েকজন মহান সন্তানদের জন্য গর্ববোধ করে, শেরে বাংলা একে ফজলুল তাদের মধ্যে একজন। গনতন্তের ধারক ও বাহক হয়ে দু:খি ও শ্রমজীবি মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য যিনি তার সারা জীবনটিই উৎর্সগ করে গেছেন। অবিভক্ত বাংলার এই মুখ্যমন্তী শিক্ষাবিস্তার, রাজনৈতিক আন্দোলন সহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন । প্রতি বছর ২৭ এপ্রিল পালিত হয় এই মহান নেতার ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ওই দিন শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও পুর্স্পাঘ্য অর্পন করে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরন করেছে। অথচ আমরা অনেকেই হয়তোবা একবারের জন্যও জানার চেষ্টা করিনি এই মহান নেতার জন্মস্থান ঝালকাঠির সাতুলিয়া গ্রামের সেই বাড়িটি কথা, যেখানে রয়েছে তার অনেক মধুর স্মৃতি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল এই যে,তার ওই জন্মস্থানের বাড়ীটি এখন ধ্বংসের পথে। বাংলার বাঘ নামে খ্যাত এই মহান নেতার মৃত্যুর পর আজ কতগুলো বছর পার হয়ে গেল, বাংলাদেশ স্বাধীন হল, কত উথান-পতন আসলো বাংলাদেশে। অথচ এই মহান নেতার জন্মস্থান ঝালকাঠির সাতুলিয়া গ্রামের সেই বাড়িটি যেখানে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক শৈশবের অনেকটা সময় তিনি কাটিয়েছেন তা আজ অপরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছে । সেখানে এখন কোন রকমভাবে বসবাস করছে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকেরই দূরসর্ম্পকের আত্বীয়স্বজনরা। বাড়ীটিকে সংস্কার অথবা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য এখন পর্যন্ত আমাদের কোন সরকারই এগিয়ে আসেনি বা প্রয়োজন বোধ করেনি । বাড়ীটির বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে এটি বসবাসের সর্ম্পূন অনুপোযুক্ত হয়ে পড়েছে । এমতাবস্থায় যদি বাড়ীটি সংস্কারের কোন প্রকার উদ্দোগ না নেয়া হয় তাহলে অতি নিকট ভবিষ্যতে এটি পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে এবং একদিন হয়তোবা কালের স্রোতে তা হারিয়ে যাবে।

Priyo.com