বরিশালের ঝুকিপূর্ন ভবন ভাঙ্গতে বিসিসির রহস্যময়ী ভূমিকা

ব্যার্থ হয়েছে বিসিসি কর্তৃপক্ষ। ভুমিকম্পের চরম ঝুকিতে থাকা সত্ত্বেও ভবনগুলোর ব্যাবস্থা গ্রহন নিয়ে বিসিসির আচরন রহস্যজনক। ২০১০ সালে ঝুকিপূর্ন এই ভবনগুলো চিহ্নিত করা হলেও শুধুমাত্র ১টি ভবন অপসারন করা হয়েছে। বাকী ১১টি ভবন মালিকদের বাধার দোহাই দিয়ে বিসিসি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। যেখানে বসবাস করছে শতাধিক জনসাধারন। ফলে জন সাধারনের মনে বিসিসির কার্যক্রম নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিসিসি’র নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঝুকিপূর্ন ভবন নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথমে সঠিক বিশ্লেষন করা হয়নি। ফলে পুনরায় এগুলো যাছাই বাছাই করা হবে।

জানা গেছে নগরীর ঝুকিপূর্ন ভবন চিহ্নিত করার জন্য বিসিসি পর্যবেক্ষক দল ব্যাপক ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে গত বছরের জুলাই মাসে নগরীর প্রায় অর্ধ-শতাধিক ভবন ঝুকিপূর্ন আশংকায় পর্যবেক্ষন কাজ অব্যাহত রাখে। পরে ভূমিকম্প ঝুকিতে ১২টি ভবনকে চিহ্নিত করে চূড়ান্ত  তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়। এর মধ্যে নগরীর বগুড়া রোডের রবিন্দ্রছুর আহমেদের ভবন, কাউনিয়া সিরাজ মহল, ঈশ্বর বসু রোডের সৈয়দ মঞ্জিল, হাসাপাতাল রোডের মান্নান মৃর্ধার ভবন, কালুশাহ সড়কে অবিস্থিত জালাল আহমেদ ও নবগ্রাম রোডের হাতেম আলী হোষ্টেলের পুরাতন ভবন, মেডিকেল কলেজ লেনের নিকা ও বিএম কলেজের ছাত্রাবাস সুরেন্দ্র ভবন। চিহ্নিত ভবনগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ১টি ভবন দি বরিশাল অফিসার্স সমবায় সমিতি অপসারন করা হয়েছে। এই ১টি ভবনটি অপসারন করা হলেও বাকী ১১টি ভবনের ব্যাপারে দীর্ঘ ৯মাসেও বিসিসি তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ঝুকিপূর্ন ভবন গুলোতে বর্তমানে প্রায় শতাধিক জনসাধরন ভূমিকম্প ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে।

অপরদিকে বিসিসির একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ২০১০ সালে যখন ভূমিকম্প ঝুকির আশংকায় ভবন চিহ্নিত করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ন অনুমানের ভিত্তিতে। ফলে প্রত্যেক ভবন মালিককে নোটিশ প্রদান করা হলে তারা বিসিসির সাথে চ্যালেঞ্জ করে ভবনের ব্যাপারে দীর্ঘদিনেও কোন ব্যাবস্থা নিতে দেয়নি। ফলে পুরানা ভবনগুলো বিচার বিশেষন করে পুনরায় দেখা হবে। এদিকে দেশে একের পর এক ভবন ধ্বশে শতাধিক লোক নিহত হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। তদুপরি বরিশালবাসীর টনক নড়ছেনা। গত এপ্রিল মাসে নগরীর হাসপাতাল রোডে একটি ভবন ধ্বশের ঘটনা ঘটে। তাই জনসাধারনের অভিযোগ বিসিসির ঝুকিপূর্ন ভবনের ব্যাপারে ঢিলেঢালা পদক্ষেপ নগরবাসীকে আতঙ্কিত করেছে। তাই খুব শিঘ্রই বিষয়টির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। এ ব্যাপারে বিসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দাস জানান, নগরীর ঝুকিপূর্ন ভবন চিহ্নিত করার ব্যাপারে বৈঞ্জানিক পদ্ধতিতে অবলম্বন করা হয়নি। তাই ভবন মালিকদের বাধার মুখে বিসিসি পদপে গ্রহন করতে পারেনি। তিনি আরও জানান, খুব শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধান করা হবে।