চলতি সপ্তাহে চালের মূল্য কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা কমে গেছে। চালের বাজার অসহনীয় হয়ে উঠলে তা নিয়ন্ত্রণে সরকার ওএমএস ও ফেয়ার প্রাইজ কার্ড কার্যক্রম চালু করে। তাতে কোনো কাজ হয়নি। অথচ এ দু’টি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার পর চালের বাজার গড়ে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা কমে গেছে। উত্তরবঙ্গের বোরো ও স্থানীয় ইরি’র সাথে সাতক্ষীরার উৎপাদিত নতুন প্রজাতির ‘টেন’ নামক চাল এখানের বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
গত ৩০ এপ্রিল ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। এর পর থেকেই বরিশালে চালের বাজার কমতে শুরু করে। গত ক’দিনে বিভিন্ন প্রকারের চাল প্রকারভেদে ৪/৫ টাকা কমেছে বলে ব্যবসায়ী ও পাইকাররা জানান। আগে এখানে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকায়। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আজ শুক্রবার মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪১ থেকে ৪২ টাকায়। ‘বালাম-২৮’ আগে বিক্রি হতো ৪১ টাকায়। আজ বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকায়। ‘বালাম-২৮ ডিআর’ চাল আগে বিক্রি হতো ৪১ টাকায় আজ বিক্রি হয়েছে ৩৭ টাকায়। অব্যাহত ভাবে চালের দাম কমে যাওয়ায় এখানকার পাইকাররা চাল আমাদানীর পরিবর্তে গুদামজাত মজুদকৃত চাল ও চোরাই ভাবে ওএমএস এবং ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের ক্রয় করে রাখা চাল বিক্রি করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। ফলে প্রতিদিনই চালের দাম কমে যাচ্ছে।
নগরীর ফড়িয়া পট্টি চালের মোকামের আড়তের মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা জানায়, হঠাৎ করে উত্তরাঞ্চল থেকে বোরো চাল আসতে শুরু করায় চালের বাজার কমতে থাকে। এর সাথে যোগ হয়েছে সাতক্ষীরা থেকে আসা নতুন প্রজাতির ‘টেন’ চাল। অনেকটা মিনিকেটের মতো উন্নত মানের এ চাল খুচরা বাজারে মাত্র ৪১ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এই টেন চাল মিনিকেটকে হারমানিয়ে পুরো বাজার দখল করেছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে ইরি ধানের চাল বাজারে উঠায় চালের বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। স্থানীয় জাতের ইরি চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মাত্র ২৫ টাকা ১০ পয়সা দরে। এই চাল এখন বাজারে সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ফেয়ার প্রাইজ কার্ড এবং ওএমএস’র সুবিধাভোগীরা এখন এ চাল কমমূল্যে ক্রয় করতে বাজারে ছুটছেন। আগামীতে দাম আরো কমবে বলে চাল ব্যবসায়ীদের ধারনা।