আবার ট্যান্সফরমার চোর চক্রের সদস্যরা সক্রিয়

ব্লকের ৩৫ কেভির তিনটি ট্যান্সফরমার বৃহস্পতিবার রাতে চুরি করে নিয়েছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। এরপূর্বে গত দশদিনের ব্যবধানে সংঘবদ্ধ চোরেরা গেরাকুল গ্রাম থেকে ১৫ কেভির একটি ও বিল্লগ্রাম থেকে ১০ কেভির আরেকটি ট্যান্সফরমার চুরি করে নিয়েছে। ট্যান্সফরমার চুরিরোধে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় একের পর এক ট্যান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ট্যান্সফরমার চুরির সাথে পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় অসাধু কর্মীরা জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ট্যান্সফরমার চুরির পর পূর্ণরায় ট্যান্সফরমার স্থাপন করতে পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। ট্র্যান্সফরমার চুরিরোধে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এখানে ট্যান্সফরমার চোর চক্রের সদস্যরা ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নাঠৈ গ্রামের ইসাহাক আলী বেপারীর ইরি ব্লকের ৩৫ কেভির ৩টি ট্যান্সফরমার চুরি করে নেয় সংঘবদ্ধ চোরেরা। গেরাকুল গ্রামের ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহক বেলায়েত ঘরামী জানান, গত ১০ দিন পূর্বে তাদের বৈদ্যুতিক লাইনের ১৫ কেভির ট্যান্সফরমারটি রাতের আধাঁরে সংঘবদ্ধ চোরেরা খুলে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে তারা পাশ্ববর্তী হ্যালিপ্যাড সংলগ্নস্থানে চুরি হওয়া ট্যান্সফরমারটির খালি বক্স দেখে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খবর দেয়া সত্বেও ২দিনেও কেউ ঘটনাস্থলে আসেননি। এ ঘটনার আটমাস পূর্বে একইভাবে এ ট্যান্সফরমারটি চুরি হয়েছিলো। তিনি আরো জানান, পরিত্যক্ত ও জনমানব শূণ্য এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ট্যান্সফরমার স্থাপন করায় একের পর চুরির ঘটনা ঘটছে। এরপূর্বে বিল্লগ্রাম থেকে ১০ কেভির একটি ট্যান্সফরমার চুরি হয়। আক্ষেপ করে ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা জানিয়েছেন, প্রতিটি ট্যান্সফরমার চুরির পর পূর্ণরায় ট্যান্সফরমার স্থাপনের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নেয়া টাকার অর্ধেক পরিমান টাকা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বহন করলে আর ট্যান্সফরমার চুরি হবে না। বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা ট্যান্সফরমার চুরিরোধে সংশ্লিষ্ট কতিপয় অসাধু কর্মীদের চিহ্নিতকরনসহ নিরাপত্তাজনিত এলাকায় স্ব-স্ব ট্যান্সফরমার স্থাপন করার জন্য পল্লী বিদ্যুতের উধর্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।