মামলা উত্তোলনের জন্য বাদিকে প্রাণনাশের হুমকি

গ্রামের রাসেল আকন নামের এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে হাতুরি পেটা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। মুর্মুর্ষ অবস্থায় ওই কলেজ ছাত্র বর্তমানে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত কলেজ ছাত্রর পিতা দুলাল আকন বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা উত্তোলনের জন্য আসামি ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা বাদি ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মামলার বাদি ও আহত কলেজ ছাত্রর পিতা গতকাল শনিবার দুপুরে অভিযোগ করেন, তার কলেজ পড়ুয়া পুত্র রাসেল আকনের (২০) সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে পার্শ্ববর্তী বিল¬গ্রামের আরিফ সরদারের বিরোধ চলে আসছিল। এরজের ধরে গত ৭ জুন দুপুরে আরিফ সরদার, মিন্টু ঘরামী, নজরুল সরদার ও কবির সরদারের নেতৃত্বে তাদের সহযোগীরা পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থান থেকে রাসেলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অটোরিকসাযোগে বিল্ল¬গ্রাম বাজার সংলগ্ন নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রাসেলকে হাতুরী পেটা করে গুরুতর জখম করা হয়। রাসেলের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মুর্মুর্ষ অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসাপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত রাসেলের অবস্থার অবনতি হলে ৮ জুন রাতে রাসেলকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে তিনি (রাসেলের পিতা দুলাল আকন) বাদি হয়ে ৮ জুন রাতেই গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা উত্তোলনসহ চিকিৎসাধীন রাসেলকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার জন্য আসামি ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে মামলার বাদি দুলাল আকন ও তার পরিবারের লোকজন এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর রহস্যজনক কারনে পুলিশ এখনো কোন আসামিকে গ্রেফতার করেননি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী অফিসার এস.আই আসাদুল হক রহস্যজনক ভূমিকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জোড় প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।