বিশৃংখলার নামে সিএনজি থেকে নামিয়ে ছাত্রকে পুলিশের খাচায় বন্দি

হরতালের মিছিল থেকে বিশৃংখলাকারীদের আটক করতে ব্যার্থ হয়ে পথচারীদের বিনা কারনে আটক করেছেন। এমন অভিযোগে গতকাল কোতয়ালি মডেল থানায় কয়েক আটককৃতের অভিভাবকরা ক্ষোভে ফেটে পরে। কিন্তু পুলিশ তাদের এই অভিযোগ কর্নপাত করেনি। বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে গতকাল কোতয়ালি পুলিশ মোট ৯জনকে আটক করে। যাদের মধ্যে মহসিন মার্কেটে এলাকার সি এনজি থেকে নামিয়ে আটক করা হয়েছে ৩জনকে। আটককৃত এই ৩ জনরা হল বরিশাল জিলা স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র অনিক (১৪) ও এস এসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাশী সাদিক (১৬) সহ হাতেম আলী কলেজ ২য় বর্ষের ছাত্র মাহফুজকে (২২)। মহসীন মার্কেট থেকে ফেরার পথে তাদেরকে আটক করা হয়। বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের  সহকারী পুলিশ কমিশনার আসলামকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি নিজেও প্রথমে কিছুটা বিস্নিত হয়েছেন।

দেখাগেছে, বিএনপি সহ সরীকদল গুলোর ডাকা ৩৬ ঘন্টার হরতালের সমার্থনে বরিশালে বিএনপি ও তার শরীক দলের নেতারা মিছিল করে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে। পুলিশ সে সময় তাদের মিছিলে বাধা দিয়ে মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এমন সময় ডিসি হেড কোয়াটার্স থেকে পুলিশদের হাতে থাকা ওয়ারলেসে যে কোন উপায়ে বিশৃংখলকারী বিএনপি নেতাদের আটকের একটি নির্দেশ আসে। ততক্ষনে মিছিল শেষ। পুলিশ উপায়ন্তর না দেখে হাজতভর্তি করতে বরিশাল নগরী জুড়ে অভিযান চালায়। অভিযানে উলে¬খ যোগ্যরা হচ্ছেন কোতয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আনোয়ার, কমলেশ চন্দ্র, মোস্তাফিজ সহ কয়েকজন। অভিযানে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোতয়ালী পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে। এছাড়া কাউনিয়া থানা পুলিশ , বিমান বন্দর থানা পুলিশ কমপক্ষে ২৫জনকে আটক করেছে। কোতয়ালি মডেল থানার অভিযানে উপরোক্ত ৩ জন ব্যতীত অন্যান্য গ্রেফতারকৃতরা হল আলেকান্দা এলাকার ব্যেপ্টিষ্ট মিশন রোডের আতিকুর রহমান মিল্টন, মোঃ আতিকুর রহমান মিল্টন(৩০), মোঃ রিয়াজ হোসেন(২৪), তারিকুল ইসলাম রনি(২২), জুলহাস উদ্দীন মাসুম(৪৫),মোঃ বাবুল খান(৪৮),আরিফুর রহমান আরিফ(২৮), ।

আটক অনিক জানান, আমরা কেনা-কাটার উদ্দেশ্যে মহসীন মার্কেটে গিয়েছিলাম। পছন্দমত কিছু না পাওয়ায় সি এনজি নিয়ে খাদেম হোসেন ক্লিনিকের সামনে আমার বাসার উদ্দেশ্যে আমরা তিনজন যাচ্ছিলাম। সিএনজি ছাড়তে না ছাড়তেই পুলিশ আমাদের সিএনজির মধ্য থেকে টেনে নামিয়ে থানায় নিয়ে আসে। তবে তারা সেই পুলিশের নাম বলতে পারেনি। আটকৃত নেতৃবৃন্দদের মধ্যের ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান ও জর্ডন রোড এলাকার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ  উপরোক্ত ৩ জনের বিষয়ে জানান, আটককৃত এই তিন পিচ্চিকে তারা চেনেনা। তাছাড়া এত অল্পবয়সী ৯ম কিংবা ১০ম শ্রেনীর ছাত্ররা রাজনীতি করবে কি করে বলে উল্টে তারা পাল্টা প্রশ্ন করেন এই প্রতিবেদককে।

এ ঘটনা তাৎক্ষনিক থানা অভ্যন্তরে উপস্থিত থাকা এসি আসলাম হোসাইনকে জানান হলে তিনি প্রথমে কিছুটা অবাক হয়ে পরবর্তীতে জানান, যাদেরকে আটক করা হয়েছে রাতে তাদের মধ্যে যাছাই-বাছাই করে দেখা হবে। সেখানে যদি কেহ নিরপরাধী থাকে তবে অবশ্যই তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। ওসি মতিয়ার রহমানকে (তদন্ত) জানান হলে তিনি নামাজের দোহাই দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ওসি জাহাঙ্গির হোসাইন জানান, নির্দোশ কাউকে পুলিশ অহেতুক হয়রানি করেনা। আটক আর গ্রেফতার এক নয়। সন্দেহভাজন যে কাউকে আটক করা হতেই পারে। তবে রাতে যাছাই-বাছাই করার পর যদি কেউ নির্দোশ থাকে তবে আইন অনুযায়ী… দেখি কি করা যায়?