গৌরনদীতে বিয়ে বাড়িতে হামলা সংঘর্ষে বরসহ ৪০ জন আহত

পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বরসহ উভয়গ্রুপের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বরের চাচাতো ভাই আহত বাসার হাওলাদার জানান, পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার উপজেলার দিয়াশুর গ্রামের ব্যবসায়ী রব হাওলাদারের পুত্র রাজিব হাওলাদারের (২৮) সাথে একই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের কালাম হাওলাদারের কন্যা লিমা খানমের (১৯) বিয়ের দিন ঠিক হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ৪৫ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে যাওয়া হয়। বেলা চারটার দিকে কনে পক্ষের লোকজনে বর পক্ষকে আপ্যায়নের জন্য খাবার পরিবেশন শুরু করে। তিনি আরো জানান, বরপক্ষের জনৈক সাদ্দাম হোসেন (১৯) সকল খাবার খেতে না পারায় খাবার পরিবেশন শেষে তা ফেরত দেয়। এতে খাবার বিনষ্টের অভিযোগ এনে কনে পক্ষের লোকজনে সাদ্দামের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে কনে পক্ষের ১০/১৫ জন সমর্থকেরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বর রাজিব হাওলাদার (২৮), বরযাত্রী আনিচুর রহমান (২৪), বাসার হাওলাদার (২৫), জামাল হাওলাদার (৩০), আরিফুল ইসলাম জীবন (২৬), সাদ্দাম হোসেন (১৯), বেল্লাল হোসেন (২৪), মহিউদ্দিন (৩৫), সলেমান (২৮), মাসুম (২৬), ধলু (২৮), স্বজল (৩০), মর্জিনা খানম (১৭), কাজল রেখা (২১), তামান্না (৯)সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ১০ জনকে ওইদিন সন্ধ্যায় গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আনিচুর রহমান জানান, কনের পক্ষের সমর্থকদের হামলার এক পর্যায়ে জীবন রক্ষার্থে তারা কনে লিমা খানমকে রেখেই পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার এস.আই স্বপনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এস.আই স্বপন জানান, পরবর্তীতে বর পক্ষের লোকজনে এসে কনে লিমাকে নিয়ে গেছেন।

কনে লিমা খানমের নিকট আত্মীয় নুর হোসেন জানান, খাবার পরিবেশন করতে দেরি হওয়ায় বর পক্ষের লোকজনে প্রথমে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তাদেরও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।