ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে খুন – যুবকের রগ কর্তন – অস্ত্রসহ গ্রেফতার১০

 পর খুন, পুলিশের কাছ থেকে যুবকের পাঁয়ের রগ কর্তন ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে দুই ঘন্টার ব্যাবধানে এই তিনটি ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের উত্তর চরআইরকান্দি গ্রামের আ: রব বেপারীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে চম্পা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে আর ফেরেনি। শুক্রবার সকাল ৮টায় পাশ্বর্তী পুকুরের কুচুরীপানার মধ্যে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। সে উত্তর চরআইরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।

কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান জানান, নিহত স্কুলছাত্রীর নাকে জমাট বাঁধা রক্ত ও কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

পুলিশ আরো জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ কালকিনি-ভূরঘাটা সড়ক দিয়ে মাইক্রোযোগে (ঢাকা-ম্যাট্রো-ছ-১১-০৯২৬) আসার সময় পুলিশ থানার সামনে বেরিকেট দিয়ে আটক করে। মাইক্রোবাস থেকে ৫টি ডেগার ও ১টি চাপাতি উদ্ধারসহ তুহিন (২০), কিবরিয়া (২০), কিবরিয়া (২০), সুমন মাতুব্বর (২৫), রহিম হাওলাদার (২০), সজিব সরদার (২২) মিজানুর রহমান ( ২০), সোহাগ খাঁ (২২), ইমাম হাওলাদার (২১) ও সোহেল (২১) কে আটক করেছে। ঐ মাইক্রো থেকে উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব আলম দলিল উদ্দিন তালুকদার ও একই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী ই্য়াহিয়া খানের মা মোসাম্মদ মমতাজ বেগমের নির্বাচনী লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম শাহিন মন্ডল বলেন, মাদারীপুরের থেকে ওরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মহিলা প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় যাচ্ছিল। ভোট গ্রহনের দিন প্রভাব বিস্তারের জন্য এদের ভাড়া করে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাইসরদারের চর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে  চেয়ারম্যান প্রার্থী আবূ তাহের তালুকদারের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব আলম দলিল উদ্দিন তালুকদারের সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে ফয়সাল (২৫) নামের এক যুবকের পাঁয়ের রগ কর্তন করেছে। সে বজলু তালুকদরের ছেলে।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল ৮টায় উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্ট হামলা হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ফয়সাল উপস্থিত পুলিশদের দেখিয়ে দিলে সন্ত্রাসীরা অর্ধশতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা ফয়সালকে ছিনিয়ে নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে সন্ত্রাসীরা ফয়সালের পাঁয়ের রগ কর্তন করে। আহতকে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি করা হলে অবস্থা আশঙ্গাজনক হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।