আনন্দ উল্লাসে শাবির ইংরেজি বিভাগের ৭ম ব্যাচের র‌্যাগ ডে পালন

হবে আনন্দ উল্লাস। কয়েকজনের উদ্যোগে আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হলো। কেক, নানা রঙ, ব্যানার, বাঁশিসহ নানান কিছু। একটি টার্মটেস্ট থাকায় ওই পরীক্ষার পরেই শুরু হয় উৎসব আর আয়োজন। রঙের মাধ্যমে শুরু হয় ক্লাসমেটদের সাথে এভাবে অনার্স শেষে আনন্দ হবে কখনো ভাবিনি। বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ র‌্যালিতে অংশ নিতে পারায় আরও ভালো লাগছে। সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করলাম। কথাগুলো বলছিলেন ফয়ছল আহমদ চৌধুরী।

স্নাতক শ্রেণীর ক্লাস শেষ। ক্লাস শেষের মাধ্যমে পুরো চার বছরের কোর্সের অবসান। এখন পরীক্ষা দিলেই হাতে আসবে সনদ। আনন্দ আর উৎসবের মধ্য দিয়ে র‌্যাগ ডে পালন করলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুন বিভাগের আঙ্গিনায় বসে ছিল শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়। দুপুরে বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে কাটা হলো কেক। উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিমাদ্রী শেখর রায়, সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, সানজিদা খাতুন বক্স ও প্রভাষক মো. ইসরাত ইবনে ইসমাইল। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকরা জানালেন তাদের শুভকামনার কথা। স্মৃতিচারণ করলেন এ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে। শিক্ষার্থীরাও পরম আনন্দিত এরকম একটি আনন্দঘন মূহুর্ত পেয়ে। ক্ষণিকের মধ্যই আনন্দ উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত হয় সবাই। একে অপরকে খাইয়ে দেয় কেক। এমন উৎসব দেখে বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে বের হয় আনন্দ র‌্যালি। ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে চার বছরের পেছনের দিনগুলোই কেউ কেউ রোমন্থন করার চেষ্টা। জানালেন তাদের ক্যাম্পাসে আসার এবং চার বছরের পেছনের গল্প।

বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ আহমদ চৌধুরী নয়ন জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো সময়টাই ছিল অনেক আনন্দের। বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আকতার নাহার পলি জানান, সবাইকে নিয়ে র‌্যাগ ডে পালন করতে পেরে ভালো লেগেছে। ক্যাম্পাসের সব কিছুই অনেক আপন করে নিয়েছি। অন্যদের মুখেও এমই কথা। এইতো সেদিন এলাম অথচ চার বছর শেষ। ক্যাম্পাসে আর বেশি দিন নেই ভাবতে কষ্ট হয়। এমনটি বলছিলেন ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী নওশাদ মিয়া।

আশফাক, রঞ্জন, আব্দুর রাজ্জাক, মাসুদ মিয়া, মুজাহিদ, অনুপমের মুখেও শোনা গেল ক্যাম্পাসের নানা স্মৃতির কথা। তাদের মতে বন্ধুদের নিয়ে ক্যাম্পাসে বেশ মজা করেছি। একসাথে আড্ডা আর কোথাও ঘুরতে যাওয়া। সব কিছুই স্মৃতিতে ভাসবে। হয়তো এমনটি ভাসবে ভবিষ্যতে। তখন শুধু মনে করেই আনন্দ পেতে হবে। জুনেদের মতে, বিভাগের সব শিক্ষকদের আন্তরিকপূর্ণ পাঠদান মনে থাকবে। শিক্ষকদের সাথে যে কোন সমস্যা নিয়ে গেলে আন্তরিকতার সাথে সমাধান দিয়েছে।

রুমি, লুবাবা রাহনুম, শারমিন, জসিম, তুহেল, শংকর প্রদীপসহ অনেকেই জানিয়েছেন তাদের ক্যাম্পাসের চাওয়া পাওয়ার গল্প। স্নাতক শেষ করতে পেরে আনন্দের কথা। প্রত্যেকের মুখে চলে এসেছে ক্যাম্পাসের হাজারো স্মৃতিময় ঘটনা। বন্ধুদের নিয়ে জমা হয়েছে হাজারো ঘটনা। আর সবকিছু মিলিয়ে ক্যাম্পাস জীবনের দিনগুলো ছিল উপভোগ্য। ক্লাস শেষে শহীদ মিনার কিংবা গ্রন্থাগার ভবনের সামনে আড্ডা দেয়ার কথাও জানালেন কেউ কেউ।  আর শিক্ষা জীবন শেষ করে নিজেকে দেশ মাতৃকার জন্য নিবেদিত হওয়ারও আকুলতা প্রকাশ করেন। সামনের অনাগত দিনগুলো আরো আনন্দময়, উৎসবপূর্ণ হবে এমনটিই প্রত্যাশা করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।