দারুনভাবে ব্যাহত হয়েছে। শনিবার জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিলো খুবই নগন্য। গতকাল সকাল থেকেই জেলা জুড়ে শুরু হয় ভারী বর্ষন। একটানা বিকেল ৩টা পর্যন্ত বর্ষন অব্যাহত থাকলে জনগনের দুভোর্গের মাত্রা বেড়ে যায়। এদিকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কাচাঁ বাড়ী-ঘর সহ শাক সবজি এবং মৎস্যের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, জেলায় ৩ হাজার ৬শ পুকুর ও ৭৭টি ঘেরের মাছ বেড়িয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। জেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় ১২শ ৮৫ হেক্টর জমির শাক সবজী এবং ১৬ হাজার ১শ হেক্টর জমির আউশ ধান পানির নীচে রয়েছে। পানি নেমে যাবার পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্নয় করা যাবে। তবে কৃষি অফিস সূত্র জানায় পানি দু’এক দিনে নেমে গেলে ধানের তেমন কোন ক্ষতি হবেনা। কিন্তু সবজীর ক্ষতি হবে।
জেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দারা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকে রয়েছে। বিশেষ করে কাঠালিয়া উপজেলায় বেড়ীবাঁধ না থাকায় উপজেলার নদী সংলগ্ন ২০টি গ্রাম ঝুঁকিপূর্ন মনে করছে এলাকাবাসী। দু’একদিনে পানি নেমে না গেলে এসব গ্রামের কাঁচা বাড়ী-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।