একজন কম্পাউন্ডার দিয়ে চলছে সকল চিকিৎসা

থেকে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেনারি সার্জন না থাকার কারনে পশু চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। একজন টিকাদানকারী ও একজন প্রজননকারী গত দু’বছর ধরে প্রশিক্ষনে থাকায় সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারন করেছে। এখানে একজন কম্পাউন্ডার দিয়েই চলছে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পশু চিকিৎসা থেকে শুরু করে টিকাদান ও প্রজনন কার্যক্রম চালাচ্ছেন গৌরনদী উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের কম্পাউন্ডার মোঃ জহিরুল ইসলাম। অফিস ও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছয়মাস পূর্বে হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আইউব আলী। হার্ডে ব্লক ধরা পরায় তাকে বারডেম হাসপাতালে বাইপাস সার্জারী করানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডেপুটিশনে ঢাকার গাজীপুরে কর্মরত রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন ভেটেনারী সার্জন ডাঃ আশুতোষ রায়। ৪ মাস পূর্বে পদন্নতি লাভ করে তিনিও অনত্র চলে যান। যে কারনে গৌরনদী প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে কর্মকর্তা শূণ্য হয়ে পরে। বর্তমানে এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ বকতিয়ার উদ্দিন। নিজ কর্মস্থলের দায়িত্ব পালন শেষে তিনিও নিয়মিত এখানে আসতে পারছেন না। ফলে রোগাক্রান্ত পশু পাখীদের নিয়ে রিতিমতো বিপাকে পরেছেন উপজেলার গো-খামারী, পোল্টি খামারী ও এলাকার লোকজনে। গত ২/৩ মাস পূর্বে বার্ড ফ্লু ও রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে গৌরনদীর বিভিন্ন এলাকার পোল্টি খামারের প্রায় অর্ধলক্ষ মুরগী মারা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের অভিযোগ, আক্রান্ত মুরগী নিয়ে পশু হাসপাতালে যাওয়া হলে চিকিৎসক না থাকায় তাদেরকে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। গো-খামারীদের অভিযোগ, চিকিৎসক না থাকায় তারা রোগাক্রান্ত পশু নিয়ে অহরহ সমস্যায় পরছেন। জানা গেছে, বর্তমানে গৌরনদী পশু হাসপাতালে একজন কম্পাউন্টার, একজন মাঠকর্মী রয়েছে। সম্প্রতি কৃত্রিম প্রজননকারী মোঃ শাহআলম তালুকদার ও টিকাদানকারী মোঃ শাহজাহান আকন দু’বছরের প্রশিক্ষনে গেছেন। ফলে টিকাদান ও প্রজনন কর্মসূচী মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। যার ফলে বাধ্য হয়েই হাসপাতালের কম্পাউন্ডার জহিরুল ইসলামকে টিকাদান, প্রজননসহ পশু চিকিৎসার যাবতীয় কাজ করতে হচ্ছে।