ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন সহজ করতে মোবাইল ব্যাংকিং চালু হবে

অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করার লক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশালে ট্রেজারী কার্যক্রম চালু করেছে। এর ফলে বরিশাল বাসীকে সরকারী অর্থ লেনদেন করতে আগে য়েখানে ১০-১৫ দিন সময় ব্যায় করত তা কমে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে পরবে। এতে করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও বড়বে। বরিবার বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশালে ট্রেজারী কার্যক্রম উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান মুঠোফোনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

এ সময়ে তিনি আরো বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারী অর্থ লেনদেন সহজ করার জন্য বাংলাদেশ বাংক মোবাইল ব্যাংকিং প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ জন্য কয়েকটি বানিজ্যক ব্যাংকে মোবাইল ব্যাকিং পরিচালনার জন্য লাইন্সেস দেওয়া হয়েছে। এটি চালু হলে মানুষ ঘরে বসে ব্যাংকের অর্থ লেনদেন করতে পরবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল মিলনায়তনে ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোস্তাফর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এক সময়ে বরিশাল ছিল শস্যভান্ডার খ্যাত অঞ্চল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া, নদীর নাব্যতাহ্রস ও জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব বেশী পড়ায় এ অঞ্চলে শস্যের উৎপান দিন দিন কমে যাচ্ছে।  ভাল সড়ক যোগাযোগ না থাকায় তেমন কোন শিল্পকারখানা গড়ে উঠেনি। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ অঞ্চল পিছিয়ে রয়েছে।

তবে নদী মাতৃক এলাকা হওয়ায় এ অঞ্চলে গড়ে উঠতে পারে আর্ন্তজাতিক মানের জাহাজ শিল্প। এ  শিল্পগড়ে তোলার সম্ভবনায় পরিবেশ রয়েছে যথেষ্ট। এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলের বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে সর্বক্তক সহযোগীতা দেবে। এ ছাড়া কৃষি উন্ননয়সহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে উদ্যাগতাদের ব্যাংক ঋনথেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান করা হবে।  

ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বলেন, মুখের কথায় নয় বাস্তাবে গ্রহকদের সেবা দিতে হবে। গ্রাহকদের কথা মনযোগ দিয়ে শুনে সমস্যার সাধানের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যাংক সেবার মাধ্যমে বরিশাল বাসী যাতে বঞ্চিত না হয় খেলা রাখতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধাপগুলোকে এগিয়ে নিতে দলমত নির্বিশেষে সবার একযোগে কাজ করতে হবে।

সভায় অন্যনর মধ্যে বক্তৃতা রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্য্যলয়ের নির্বাহী পরিচালক সুধীর চন্দ্র দাস, সেনালী ব্যাংকের মাহা-ব্যবস্থাপক (বরিশাল-খুলনা অঞ্চল) মো. শওকত আলী, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম সচিব (একাউন্স ও বাজেটিং বিভাগ) মো. ওসমান গনি প্রমূখ।