সুইটির দিনমজুর পিতা মজিবুল হক ওরফে আলাউদ্দিন মিয়া জানান, তার কন্যা সুইটির রহস্যজনক নিখোঁজের পর দীর্ঘদিন তারা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি করে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে তিনি মীরপুর থানায় একটি সাধার ডায়েরী করেন। ৬ মাস পর তারা জানতে পারেন প্রেমের সম্পর্কে তার কন্যা সুইটি রাসেলের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে বর্তমানে তার পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস করছে।
তিনি আরো জানান, তার কাছে রাসেল বেপারী একাধিকবার ফোন করে সুইটিকে প্রানে বাঁচাতে হলে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে সুইটি বাঁধ সাধায় রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই সুইটির ওপর শারিরিক নির্যাতন চালাতো বলে সুইটি তার মা শেফালী বেগমের কাছে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আগামি ৪/৫ দিনের মধ্যে তাদের রাসেলের বাড়িতে আসার কথা ছিলো বলেও তিনি জানান।
গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, বুধবার রাতে স্থানীয় লোকজনে থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে গৃহবধূ সুইটির লাশ উদ্ধারসহ ২ জনকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাটি কালকিনি থানার হওয়ায় ওইরাতেই কালকিনি থানা পুলিশকে খবর দিয়ে লাশসহ আটককৃত মনির হোসেন বেপারী ও মারুফ বেপারীকে কালকিনি থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সুইটির মৃত্যুর খবর শুনে প্রথমে গৌরনদীতে ছুটে আসেন তার দিনমজুর পিতা মজিবুল হক ওরফে আলাউদ্দিন মিয়া। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার কন্যা সুইটিকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বাদি হয়ে ওইদিনই মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হচ্ছে-রাসেল বেপারী, তার পিতা ফিরোজ বেপারী, মা হেনা বেগম, চাচা ফারুক বেপারী, চাচি ছালমা বেগম, চাচা আটককৃত মনির হোসেন ও চাচাতো ভাই মারুফ বেপারী।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার এস.আই হেকমত আলী জানান, গৌরনদী থানা থেকে গৃহবধূ সুইটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার মাদারীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে সুইটির লাশ তার পিতা মজিবুল হক ওরফে আলাউদ্দিন মিয়া গ্রহন করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।