প্লান বহির্ভূত ভাবে ছয় তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ

ডিপ্লোমা-ফার্মাসিষ্ট কাম ষ্টোরকিপার হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দক্ষিন পালরদী এলাকার জমি দখল করে আনোয়ারা ক্লিনিকের নামে প্লান বহির্ভূত ভাবে ৬তলা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে জমির মালিক ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিন পালরদী মৌজার এস.এ ৪২ নং দাগের ১৬৬ নং খতিয়ানের ৩২ শতক জমির এস.এ রেকর্ডের মালিক এসলাম হাওলাদার ও তার সহদর জবেদ আলী হাওলাদার। গত ১২ বছর পূর্ব মরহুম এসলাম হাওলাদারের পুত্র সৈয়দালীর কাছে জবেদ আলী হাওলাদারের একমাত্র কন্যা রোকেয়া বেগম ৬ শতক জমি বিক্রি করেন। এর ২ বছর পর সৈয়দ আলী হাওলাদার ওই দাগে তার খরিদকৃত ৬ শতক ও পৈত্রিক ৬ শতক জমিসহ মোট ১২ শতক জমি ষ্টোরকিপার হেদায়েত উল্ল¬াহ্র কাছে বিক্রি করেন। গত বছর গৌরনদী পৌরসভা থেকে হেদায়েত উল্লাহ আবাসিক ৫ তলা ভবন নির্মাণের জন্য প্লান পাস করান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তার প্লটের পাশে রোকেয়া বেগমের ৮ শতক জমির প্লট দখল করে প্লান বহির্ভূত ভাবে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ওই সময় ৮ শতক জমির প্লটের মালিক রোকেয়া বেগম ও তার পুত্র মোঃ কাঞ্চন মিয়া নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করেন। তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে ষ্টোরকিপার হেদায়েত উল্লাহ্ প্লান বহির্ভূত ভাবে ৬ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছেন। ইতোমধ্যে নিচ তলার কাজ সম্পন্ন করে ভবনে আনোয়ার ক্লিনিকের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করেছেন। উপায়ন্তর না পেয়ে কাঞ্চন গৌরনদী পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছের উপস্থিতিতে পৌর কার্যালয়ে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ বৈঠকে উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর সৈয়দা খায়রুন নাহার মায়া ও ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ বাবুল খানকে জমি মেপে পিলার পুতে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। মহিলা কাউন্সিলর মায়া ও কাউন্সিলর বাবুল উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আমিন হিমুকে দিয়ে জমি মেপে সীমানা পিলার পুতে দেয়। ওই জমিতে কাঞ্চন বাঁশ দিয়ে বেড়া দিতে গেলে ষ্টোর কিপার হেদায়েত উল্লাহ ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা গত ১১ জুন গভীর রাতে কাঞ্চনের বাড়িতে গিয়ে তাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসে। এ ব্যাপারে কাঞ্চন পরেরদিন (১২জুন) গৌরনদী থানায় একটি জিডি করেছেন। হেদায়েত উল্লাহ্ ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার কেহ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত হেদায়েত উল্লাহ্ জানান, পৌরসভার কারন দর্শানোর নোটিশের জবাব তিনি লিখিত ভাবে দিয়েছেন। ১৯৫৬ সনে তিনি ওই এস.এ দাগের ১৩ শতক জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিগ্রহন করে নিয়েছে। খরিদকৃত ১২ শতক জমির ওপর তিনি ভবন নির্মাণ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন। গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ জানান, পৌরসভা থেকে আবাসিক ৫তলা ভবনের প্লান পাস করে বানিজ্যিক ৬তলা ভবন নির্মাণ করায় হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।