সাব রেজিষ্ট্র্রার বরখাস্ত – জমির দলিল রেজিষ্ট্রেশনে স্থবিরতা

মাধ্যমে চাকুরীতে নিয়োগ লাভের অজুহাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার নিহার রঞ্জন বিশ্বাসকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৬ জুন আইন ও বিচার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে তাকে চাকুরীচ্যুত করা করা হয়। বর্তমানে গৌরনদীতে সাব রেজিষ্ট্রার না থাকায় জমির রেজিষ্ট্রেশন কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাকুরী লাভের প্রাক্কালে নিহার রঞ্জন বিশ্বাস নিজেকে মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী দাবি করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দেন। অথচ ১৯৭১ সনে তার বয়স ছিলো মাত্র ৪ বছর। গত কয়েক মাস পূর্বে সংসদীয় কমিটির তদন্তে তার জালজালিয়াতির রহস্য বেরিয়ে আসে। এ কারনে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।

অপরএকটি সূত্রে জানা গেছে, মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী দাবি করে নিহার রঞ্জন বিশ্বাসের ন্যায় মিথ্যে তথ্য ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দিয়ে সারাদেশে ১৯০ জন সাবরেজিষ্ট্রার বছর খানের পূর্বে নিয়োগ লাভ করেন। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত ১৩ জন সাব রেজিষ্ট্রারকে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে বাকিদের বরখাস্তের প্রক্রিয়া চলছে।

 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে একটি জালিয়াত চক্র এসব সাব রেজিষ্টারদের চাকুরি পাইয়ে দিয়েছিলো। ওই চক্রের দাবিকৃত উৎকোচ দিয়ে গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুরসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার কতিপয় যুবকেরা সাব-রেজিষ্ট্রারসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে চাকুরি লাভ করেছেন। গৌরনদী উপজেলার বরখাস্তকৃত সাব-রেজিষ্ট্রার নিহার রঞ্জন বিশ্বাসের বাড়ি উজিরপুরের কার্ফা গ্রামে। একই পন্থায় তার বাড়ির আরো দু’জন যুবক সাব-রেজিষ্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়েছে। তবে বাকি দু’জনকে এখনো বরখাস্ত করা হয়নি। সূত্রে আরো জানা গেছে, জালিয়াত চক্রের হোতা প্রধানের বাড়ি গৌরনদীতেই।