আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য-টিএন্ডটি কর্তৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা

কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা শাহে আলম ভূঁইয়ার পুত্র রাসেদুজ্জামান ঝিলাম মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন, ১৯৭৪ সনে তার বাবা শাহে আলম ভুইয়া উত্তর বিজয়পুর মৌজার বিভিন্ন দাগে ৬৫ শতক ভূমির পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে মালিক হন। ওই সম্পত্তিতে তারা বসত বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। বিগত ১৯৮৫ সনে ওই সম্পত্তির পাশ্ববর্তী সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহন করে নেয়। ওই বছরের ৮ জুলাই একটি চিঠির মাধ্যমে তারা জানতে পারের তাদের ৪০ শতক সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহন করা নিয়েছে। যাহার মূল্য ধরা হয়েছিলো ৩৮ হাজার ৮’শ টাকা। উক্ত টাকা তারা উত্তলন করেননি। সে সময় তারা তৎকালীন স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী বাবু সুনিল কুমার গুপ্তকে বিষয়টি অবহিত করে তাদের শেষ সম্বল কেরে নিয়ে ভূমিহীন না করার জন্য অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে ভূমি মন্ত্রী, স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়টি আমলে নিয়ে সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের ৪০ শতক সম্পত্তি বাদ দিয়ে টিএন্ডটি অফিস নির্মানের জন্য খালি জায়গা বা নালা জমি অধিগ্রহনের জন্য সুপারিশ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, এতেও কোন কাজ না হওয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে আমাদের বসত বাড়ি রক্ষার জন্য ১৯৯০ সনের ১৮ এপ্রিল আদালতের দারস্ত হই। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বাক্ষী প্রমানের মাধ্যমে নিশ্চিত হইয়া বিরোধীয় এল.এ কেস/ ভূমি অধিগ্রহনকে বে-আইনি ও বিধি বর্হিঃভূত বলে ঘোষনা করেন এবং আমাদের ভোগ দখলে থাকা জমির ওপর কোন প্রকার হস্তক্ষেপ না করার জন্য বাদির পক্ষে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে আমাদের সম্পত্তির পাশ্ববর্তী ১৯৮ নং দাগের ৪০ শতক সম্পত্তির ওপর টিএন্ডটির দ্বিতল ভবন নির্মান করা হয়। সম্প্রতি স্থানীয় কতিপয় টিএন্ডটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাদের ভোগ দখলীয় ৪০ শতক সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ওইসব কর্মকর্তা, কর্মচারীরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করে হয়রানি শুরু করে। ইতিপুর্বে আরো দু’বার আমাদের বিরুদ্ধে টিএন্ডটি কর্তৃপক্ষ আদালতে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছিল। পরবর্তীতে আদালতে তা মিথ্যে প্রমানিত হওয়ায় বিচারক মামলা গুলো খারিজ করে দেন। এছাড়াও গত ১৩ জুন সকালে টিএন্ডটির কর্মচারী জনৈক আবুল হোসেন আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার অসুস্থ্য বাবাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভিতিসহ হুমকি প্রদর্শন করে। নিজ ভোগদখলীয় সম্পত্তি রক্ষায় ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্যর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।