ভূয়া সিল ব্যবহার করে দলিল সম্পাদন

সভাপতি ও দলিল লেখক মোঃ জালাল উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে জালজালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া সিল ব্যবহার করে দলিল সম্পাদনসহ ভূয়া পর্চা বিক্রি করার অভিযোগ এনে তার লাইন্সেস বাতিলের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সাব রেজিষ্টার গত ১৫দিন পূর্বে জালাল উদ্দিনের লেখা দলিল রেজিষ্ট্রি স্থগিতের ঘোষনা করেছেন।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, প্রভাবশালী যুবদল নেতা জালাল উদ্দিন মোল্লা দীর্ঘদিন থেকে জালজালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া সিল ব্যবহার করে দলিল সম্পাদন ও ভূয়া পর্চা বিক্রি করে আসছে। ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিগত ২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল গৌরনদী সার্কেলের তৎকালীন এএসপি মোঃ সিরাজুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে জালাল মোল্লার বসত ঘর ও বাড়ির মুরগীর ঘর থেকে উপজেলা রেজিষ্ট্রি অফিস ও বিভিন্ন অফিসের ভূয়া সিলসহ ভূয়া পর্চা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানার এস.আই মোঃ হাসমত আলী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জালাল দেড় মাস কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে পূর্নরায় জালজালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সম্পাদনের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ওই মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

জালাল উদ্দিন মোল্লার স্ত্রী তাছলিমা নাহারের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সু-চতুর জালাল বিভিন্নস্থানে ছদ্মনাম ও ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে একাধিক বিয়ে করেছে। এ ব্যাপারে তিনি (তাছলিমা) উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রে আরো জানা গেছে, বিগত ২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মোঃ আমিনুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মহা-পরিচালক (নিবন্ধন) মুন্সী নজরুল ইসলামের কাছে জালালের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির অভিযোগ এনে তদন্ত সাপেক্ষে তার (জালালের) লাইন্সেস বাতিলের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেন। এছাড়াও সম্প্রতি ভূক্তভোগী উপজেলাবাসী জালাল উদ্দিনের লাইন্সেস বাতিলের দাবি জানিয়ে জেলা রেজিষ্টারের কাছে লিখিত আবেদন করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মহা-পরিদর্শক কর্তৃক জেলা রেজিষ্ট্রারকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।  

আগৈলঝাড়া উপজেলা সাব-রেজিষ্টার মানিক লাল মুখার্জী জালাল উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে এলাবাসির দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫ দিন পূর্বে দলিল লেখক জালাল উদ্দিন মোল্লার লেখা দলিল রেজিষ্ট্রি বন্ধের ঘোষনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, খুবশীঘ্রই তার লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত দলিল লেখক ও যুবদল নেতা জালাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার প্রতিপক্ষের লোকজনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে তাদের লোকজন দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন পাঠিয়েছেন।