এলজিইডি প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ

বিল উঠিয়ে নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বাস্তবায়নকৃত প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকৌশলী তথ্য অধিকার আইন না জানায় একগুঁয়েমী করে সাংবাদিকদের কাছে ওই আইনের ফটোকপি দেখতে চান এবং তাদের কোন তথ্য দেননি।

সংশ্লিষ্ট উর্ধতনসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের চাঁদত্রিশিরা গ্রামে ওয়াপদা সড়ক থেকে তালবাড়ি পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়ক এলজিইডি’র আওতায় পাকাকরণ ও বক্স কালভার্ট নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের শেষ দিকে টেন্ডার আহ্বাণ করে। বরিশালের আল-জায়েদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দের কার্যাদেশ পায়। যার স্বত্বাধিকারী বিসিসি-র সাবেক কমিশনার মোশারেফ আলী খান বাদশা। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কাজের শুরু থেকেই উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলামকে ম্যানেজ করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করে আসছিল। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজ সম্পর্কে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ইউনুস মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন একাধিকবার প্রকৌশলী নজরুল ইসলামকে জানালেও তিনি কাজের মানের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেননি। একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে, প্রকৌশলী নজরুল ও ঠিকাদার বাদশা বরিশাল শহরের একই এলাকার বাসিন্দা। যে কারণে ওই ঠিকাদারের কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করার কোন পদক্ষেপ তিনি নেননি। এছাড়াও জুন ক্লোজিং-এর অজুহাতে ঠিকাদার সমূদয় বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন। চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে কাজটি শেষ করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগে জানিয়েছেন, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম আগৈলঝাড়ায় যোগদান করার পর থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের আওতায় বাস্তবায়িত কাজের মান সন্তোষজনক হচ্ছেনা। যার ফলে চাঁদত্রিশিরা ওয়াপদা সড়ক থেকে তালবাড়ি পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের ১৫ দিন না যেতেই বিভিন্নস্থানে সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে পরেছে। বিধ্বস্ত প্রকল্পের ব্যাপারে বুধবার সাংবাদিকরা প্রকৌশলী নজরুলের কাছে তার অফিসে গিয়ে তথ্য চাইলে তিনি খামখেয়ালী করে কোন তথ্য দেননি। প্রকৌশলীর অসৌজন্যমূলক আচরণ সম্পর্কে সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাসকে অবহিত করলেও অজ্ঞাতকারণে তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।