ঘাতক স্বামীর স্বীকারোক্তি দ্বিতীয় বিয়েতে বাঁধা দেয়াই প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে

দ্বিতীয় বিয়েতে বাঁধা দেয়ার কারনেই প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী কহিনুর বেগমকে হত্যা করেছে ঘাতক স্বামী গোলাম মোস্তফা সরদার (৪৫)। দু’দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল রবিবার পুলিশের কাছে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে মোস্তফা সরদার। প্রায় দু’মাস পর বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার লাখেরাজ কসবা গ্রামের চাঞ্চল্যকর কহিনুর হত্যা মামলার জট খুলতে সক্ষম হয়েছে গৌরনদী থানা পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই শাহজালাল ঘাতক গোলাম মোস্তফার উদ্বৃতি দিয়ে জানান, পৌর এলাকার লাখেরাজ কসবা গ্রামের মুদী ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা সরদার হত্যার দু’মাস পূর্বে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এতে তার প্রথম স্ত্রী তিন সন্তানের জননী কহিনুর বেগম (৩৫) বাঁধ সাধেন। এ নিয়ে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো। দাম্পত্য কলহের কারনেই কহিনুরকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহন করে ঘাতক স্বামী গোলাম মোস্তফা।

ঘটনারদিন ১ ফেব্র“য়ারি সকাল দশটায় গোলাম মোস্তফা নিরজন ঘরে প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগমকে ঘরের দোতালায় (মাচাঁয়) ডেকে নেয়। সেখানে আচমকা ঘাতক মোস্তফা গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে কহিনুরকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ওই মাফলার দিয়েই ঘরের চালের আড়ার সাথে বেঁধে রাখা হয়। ঘটনার চারদিন পর (৪ ফেব্র“য়ারি) প্রতিবেশী রুহুল সিকদার মস্তফার ঘরের মধ্যে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মস্তফার বসত ঘরের মাঁচা (দোতালা) থেকে কহিনুরের গলায় মাফলার দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় কহিনুরের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতর পিতা আছমত আলী বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ গত ২৭ মার্চ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার বংশাল থানা এলাকা থেকে ঘাতক গোলাম মোস্তফা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী বুলু বেগকে গ্রেফতার করে।