বরিশাল জেলা বিএনপি’র সভাপতি কামালকে অবাঞ্চিত ঘোষনা

বরিশালে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। আজ শনিবার জেলা’র অনুমেদিত কমিটি প্রত্যাক্ষান করে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে। দুপুরে নগরীর সদর রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে  অযোগ্যদের নেতৃত্বে আসীনের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসূচী ঘোষনার বিষয়ে এক প্রস্তুতি মূলক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুপুর ১২টায় আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা এএইচ এম সালেহ আহমেদ, এবায়েদুল হক চাঁন, অ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন জুম্মান, অ্যাড.মহসিন মন্টু, আবুল কালাম আজাদ। বৈঠকে বলা হয় আহসান হাবীব কামাল রাজধানীতে ব্যাবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এছাড়া তিনি অসাংগঠনিক হিসাবে পরিচিত। তিনি কোনভাবেই জেলার সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। একই সঙ্গে কামালকে বরিশালের রাজনীতিতে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়। আর সাধারন সম্পাদক পদে সাবেক এমপি বিলকিস আক্তার শিরীনকে করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভায় জেলায় সভাপতি হিসাবে এবায়েদুল হক চাঁন যোগ্য বলে নেতা-কর্মীরা অভিমত প্রকাশ করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা কমিটি বাতিলের দাবীতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে অংশ গ্রহন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দুলাল কাজী, কোতোয়ালী যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ শামীম।

মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন মন্টু বলেন অযোগ্যদের নিয়ে গঠিত কমিটি বাতিলের দাবীতে ২৭ জুন সাংবাদিক সন্মেলনের মাধ্যমে লাগাতার কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে। তিনি বলেন দলের সকল মাঠের নেতা-কর্মীদের দাবী উঠেছে কমিটি বাতিল করতে হবে নচেৎ নেতৃত্বে আসীনদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফকরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে।

এদিকে এর আগে ২০০৩ সালে বরিশাল নগরীর একে স্কুলের এক বৈঠকে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ বরিশাল জেলার সভাপতি পদে মজিবর রহমান সরোয়ার ও নজরুল ইসলাম খান রাজনকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করেন। দীর্ঘ ৬ বছর পর আহসান হাবীব কামালের উপর বহিস্কারাদেশ’র খড়গ তুলে নেয়া হলে তিনি মহানগরের সভাপতি হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। কয়েক মাস আগে মহানগর বিএনপির সভাপতি হন এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার। এরপর থেকে কামাল জেলার সভাপতি পদে আসীন হতে জোর প্রচেষ্টা চলায়। এরইধারাবাহিকতায় কামাল জেলার সভাপতি পদে আসীন হতে সক্ষম হয়েছেন।।

প্রসঙ্গত ২০০৩ সালের সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিতে দু’টি গ্রুপের আবির্ভাব ঘটে। মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মেয়র আহসান হাবীব কামাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবায়েদুল হক চাঁন দলীয় সিদ্ধান্তকে অমান্য করে মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাদের ওপর নেমে আসে বহিষ্কারের খড়গ। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছু দিন আগে এবায়েদুল হক চাঁনের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় হাইকমান্ড। আর গত বছরের জুন মাসের ১ম সপ্তাহে আহসান হাবীব কামালের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হয়।