গৌরনদীর প্রধান বৈশিষ্ট্যই কি জলাবদ্ধতা!

আহম্মেদ সুমনদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে জাহিদ হোসেন ও এস.এম রফিকুল ইসলাম। বন্ধুদের রির্ভ করার জন্য গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন সুমন। ওইদিন বিকেল চারটার দিকে দুরপাল্লার বাস থেকে নামেন সুমনের ঢাকার বন্ধুরা। গাড়ি থেকে নেমেই ঢাকার এক বন্ধু সুমনকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠেন, গৌরনদীর প্রধান বৈশিষ্ট্যইকি এই জলাবদ্ধতা। আসলে এটি কি জলাশয় নাকি দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্মৃদ্ধ গৌরনদী। এ নিয়ে আগত দশনার্থীদের মধ্যেও সংশয় দেখা দিয়েছে।

বরিশালের গৌরনদী পৌর সদরের প্রাণকেন্দ্র বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশ্ববর্তী গৌরনদী হাইওয়ে থানা, প্রেসক্লাব চত্বর, দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরাকারী গৌরনদী কলেজ ও গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র প্রবেশদ্বার এবং দুরপাল্লার কোচ কাউন্টারের সম্মুখে এমনই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী, স্থানীয় পৌর নাগরিকসহ গৌরনদীতে আগত দশনার্থীদের। পানি নিস্কাসনের কোন সুযোগ না থাকায় আষাঢ়ের বর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকেই এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গৌরনদীর প্রাণকেন্দ্রের এ বেহাল দশায় ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় ভুক্তভোগী, শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দদেরও। জরুরি ভিত্তিতে এ সমস্যা সমাধানের জন্য গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়েরুল ইসলাম জানান, গৌরনদীর প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ডে এক হাঁটু কাঁদা-পানি হওয়ায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ জনসাধারনের চলাচল কঠিন হয়ে পরেছে। গত কয়েক বছর ধরে এমনই বেহাল দশা হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার সাবেক পৌর মেয়রের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পৌরসভার প্রানকেন্দ্র গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডসহ পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লায় জলাবদ্ধতার কারনে পৌর নাগরিকদের চরম দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, সাবেক পৌর মেয়র প্রায় কোটি টাকা দেনা রেখে বিদায় নিয়েছেন। তার আমলে গৌরনদী পৌরসভায় কোন উন্নয়নই হয়নি। তিনি আরো বলেন, সবে মাত্র আমি দায়িত্ব নিয়েছি। এ বছরই আমার প্রথম বাজেট। পৌরসভার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ জলাবদ্ধতা দূরকরনে এবারের বাজেটে সর্বাত্মক প্রাধান্ন দেয়া হবে।