বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কটি মরন ফাঁদে পরিনত

একমাত্র ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীসহ বিভিন্নস্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের ফলে মহাসড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে এখন যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ফলে প্রতিনিয়তই এ মহাসড়কে ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জরুরি ভিত্তিতে জনগুরুতপূর্ণ এ মহাসড়কের খানাখন্দের সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিনে বরিশালের প্রবেশদ্বার গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা বাসষ্টান্ড থেকে বরিশাল নতুল্লাবাদ বাসটার্মিনালের ৪৫.৫ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রবল বর্ষণে মহাসড়কের ভুরঘাটা, বার্থী, কটকস্থল, টরকী, কসবা, গৌরনদী, দক্ষিণবিজয়পুর, আশোকাঠী, কাসেমাবাদ, মাহিলাড়া, বাটাজোর, বামরাইলসহ বিভিন্নস্থানের পাথর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে চলাচালকারী যানবাহন এখন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোঃ মোজ্জামেল হোসেন বলেন, মহাসড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই এ মহাসড়কে ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনা। এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী বরগুনা-ঢাকাগামী মেঘনা পরিবহনের চালক মোঃ শাহীন তালুকদার বলেন, ভাই নিজের ও যাত্রীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে এখন গাড়ি চালাতে হচ্ছে। প্রবল বর্ষণে মহাসড়কের মধ্যে এমন গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যা দিয়ে গাড়ি চালাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একেতো সড়কটি প্রস্থে ছোট। তার ওপরে হঠাৎ করে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এখন ঝুঁকি আরো বেড়ে গেছে। এ কথা শুধু চালক শাহীনেরই নয়। একইভাবে জানালেন চালক কালু ঘরামী, বাবুল হোসেন, আলী আকবরসহ অনেকেই। যাত্রী আল-আমিন হাওলাদার বলেন, আগে গৌরনদী থেকে বরিশাল যেতে পরিবহনে (দুরপাল্লার বাসে) ৪৫ মিনিট সময় লাগতো। এখন সেখানে দু’ঘন্টা সময় লাগে। তাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয়। 

ভুক্তভোগীরা জরুরি ভিত্তিতে মহাসড়কের খানাখন্দের সংস্কার ও ব্যস্ততম সড়কটির প্রস্থে বৃদ্ধি করার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোড় দাবি জানিয়েছেন।