বিদ্যুতের জন্য ব্লুম বক্সঃ সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব

ব্লুম বক্স হচ্ছে একটা বাক্সের মধ্যে পাওয়ার প্লান্ট। বাক্সে থাকে অনেকগুলো ফুয়েল সেল যেগুলো হাইড্রোকার্বন ফুয়েল নিয়ে পোড়ায় না বরং ইলেকট্রোকেমিকাল বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ তৈরী করে। ফুয়েল সেল গুলো বালির তৈরী যাকে ডিস্কেট সাইজের বর্গাকার সিরামিকে রুপান্তর করা হয়। প্রতিটি সেল একটা লাইট বাল্বকে জ্বালানোর মত শক্তি তৈরী করতে পারে। অনেকগুলো ফুয়েল সেলকে একটার উপর আরেকটা রেখে একত্র করা হয় এবং দুটো সেলের মাঝে একটি করে ধাতব প্লেট দেয়া হয়। এই একত্র করা ফুয়েল সেল গুলো রাখা হয় ফ্রিজ-আকৃতির একটা বক্সে যার নাম ব্লুম বক্স।

শ্রীধরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ৬৪ টা ফুয়েল সেল স্টারবাকস ফ্রানসাইজের মত ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট। ব্লুম বক্স এখন বিদ্যুতায়ন করছে ফেডেক্স, গুগল, ওয়ালমার্ট, ই-বে এর মত বড় বড় কম্পানিকে। ই-বে ব্লুম বক্স স্থাপন করে নয় মাসে এক লাখ ডলার বিদ্যুৎ বিল বাচিয়েছে। ই-বের হেড কোয়ার্টারে স্থাপন করা ব্লুম বক্স ০.৫ মেগাওয়াটের যা প্রায় ২৫০ টা বাড়িকে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম। খরচের কথা বলতে গেলে – ১০০ কিলোওয়াট প্লান্টের জন্য খরচ সাত থেকে আট লাখ ডলার। ১ কিলোওয়াট সাধারন বাড়ির জন্য খরচ পড়বে ৩ হাজার ডলার অর্থাৎ দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে ব্যবহার বাড়লে খরচ কমে যাবে। ডঃ শ্রীধর প্লান্ট খরচ অর্ধেক করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে যে কোন হাইড্রোকার্বন জ্বালানী- গ্যাস, ডিজেল, পেট্রল, প্রানীজ জ্বালানি (বায়োফুয়েল), বায়োগ্যাস, কিংবা সৌর শক্তি। এখন পর্যন্ত স্থাপিত অধিকাংশ বক্স গুলোতে সাধারণত ব্যবহার করা হয় বায়োগ্যাস কিংবা সৌর শক্তি। সচরাচর পাওয়ার প্লান্ট থেকে এটার প্রধান পার্থক্য হচ্ছে –সচরাচর পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ পেতে অনেক ধরনের শক্তির রুপান্তরের প্রয়োজন হয় যেখানে প্রচুর শক্তির অপচয় ঘটে। কিন্তু ব্লুম বক্সে রাসায়নিক শক্তি একধাপে বিদ্যুৎ শক্তিতে রুপান্তর হয়। এর ফলে অপচয় তুলনামুলক অনেক কম হয়। ব্লুম বক্স বাড়িতে স্থাপনযোগ্য বলে বিদ্যুৎ স্থানান্তরের ফলে যে লস তাও এড়ানো সম্ভব হয়।

সুত্রঃ
১। Click This Link
২। Click This Link
৩। http://en.wikipedia.org/wiki/Bloom_Energy
৪। http://www.bloomenergy.com
৫। http://en.wikipedia.org/wiki/K._R._Sridhar