ঝালকাঠিতে ট্যাক্সের টাকা আদায়ে পুলিশ কর্তৃক মারধরের অভিযোগ

ইউপি সদস্য আনজুমান আরা বেগমের স্বামী কর্তৃক বারুহার গ্রামের এক যুবককে পিটিয়ে আহত করেছে। সোমবার সকালে বারুহার গ্রামের শিশির মজুমদারকে (৩৫) পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করা হয়েছে।

শিশিরের ভাই সুশীল মজুমদার (৪৫) জানান, তার ছোট ভাই শিশিরের কাছে ইউনিয়নের পরিষদের বকেয়া বাবদ কিছু টাকা পাওনা ছিল। ঐ টাকা পরিশোধের জন্য স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সতিশ চন্দ্র মন্ডল ও রাজাপাশা গ্রামের জালাল দফাদার ও পুলিশ সদস্য আউয়ালসহ  অজ্ঞাত কিছু লোক গত রোববার তাদের বাড়িতে যায়। এসময় শিশির স্থানীয় চৌকিদার সতিশের কাছে পূর্বের পাওনা টাকা থেকে ট্যাক্স কর্তন করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু  চৌকিদার এতে রাজী না হওয়ায় আউয়াল পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার বাড়িতে টাকা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়। শিশির টাকা না দেয়ার কারনে পরদিন সোমবার সকালে আউয়ালের বাড়ির সামনের রাস্তায় পেয়ে টাকা না দেয়ার কারন জানতে চায়। শিশির সতিশ চৌকিদারের কাছে পাওনা টাকা থেকে কর্তন করার কথা পুনরায় ব্যক্ত করলে আউয়াল পুলিশ উত্তেজিত হয়ে শিশিরকে মারধরের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে মারধর থেকে রক্ষা পায়। এর আধাঘন্টা পর  শিশির তার অসুস্থ মাকে নিয়ে ঝালকাঠিতে  ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসার জন্য গাড়ি ঠিক করতে বারুহার টেম্পুষ্ট্যান্ডে যায়। তখন আউয়াল পুনরায় তার বড় ভাই মোশারেফের পুত্র নুরুল আমিনকে ডেকে এনে শিশিরকে মারধর শুরু করে। আহত অবস্থায় তার কাছে থাকা সাত হাজার টাকা নিয়ে যায়। মারধরে শিশিরের নাক ফেটে অঝোরে রক্ত ঝড়তে থাকলে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত পাশ্ববর্তী সারেংগল বাজারে ডাক্তারের কাছে ও পরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

বর্তমানে শিশির সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ আউয়াল জানান, শিশিরকে মারধরের ঘটনা মিথ্যা। এমনকি শিশিরের অসুস্থতার কথা সাংবাদিকদের কাছে শুনে তিনি হতবাক হন। জানাগেছে, আউয়াল ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানায় ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আউয়াল পুলিশে চাকরী করে বেশীরভাগ সময়ে বাড়ি থেকে লোকজনকে নানা ভাবে ভয়ভীতি হুমকী দিয়ে আসছে। শিশিরের ভাই সুশীল আরো জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ করলে ৭দিনের মধ্যে তাদের ভারত চলে যেতে হবে।