শেবাচিম কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে শিবিরের অর্ধ শতাধিক ক্যাডার

দিতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে শিবিরের অর্ধ শতাধীক ক্যাডার ও নেতা-কর্মি । শুক্রবার রাতে মহনগর জামায়াত ও শিবির নেতাদের অনুরোধে পুলিশ এ প্রহরা দিচ্ছে।

একটি সূত্রে জানাগেছে, বিপদ হবে এমন আগাম বার্তা থাকলেও ভবিষ্যত গড়তে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে অর্ধ শতাধীক শিবির ক্যাডার ও নেতা কর্মি পরীক্ষায় অংশ নিতে আজ সকাল ১০ টায় কলেজে প্রবেশ করেছে। তবে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আর এই পুলিশি প্রহরায়ই শিবির নেতা-কর্মি ও সমার্থকরা পরীক্ষা দিচ্ছেন।

এদিকে সাধারন শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মাস ব্যপী এ পরীক্ষায় প্রতিদিনই পুলিশ প্রহরা থাকলে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকবে। তবে একেবারেই যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না তা বিশ্বাস করতে রাজী নয় সাধারন শিক্ষার্থীরা । তাদের মতে শিবির এমন একটি ছাত্র সংগঠন যারা ধংসাত্বক কর্মকান্ড ঘটিয়েই শান্তি পায় । তাই ওদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হাত থেকে কম্পাসকে মুক্ত রাখতে র‌্যাব মোতায়েন জরুরী হয়ে পরেছে ।

বরিশাল সহানগর শাখার শিবিরের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, পরিক্ষার বিষয়টি বিসিসি মেয়র ও ক্ষমতাশীন দলের একাধিক নেতা ও মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের অভিভাবকদের অবহিত করা হয়েছে। তাদের কাছে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে পুলিশ মোতায়েনের দাবী জানানো হয়েছে ।

এ ব্যাপারে শেবাচিমের ছাত্র কল্যান পরিষদের ভিপি ও মহানগর ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা মাসরেফুল ইসলাম সৈকত বলেন, কলেজ থেকে শিবির অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। কলেজে কোন শিবির ক্যাডারের স্থান হবে না। তারা কলেজে এসে পরীক্ষা দিতে পারে কিন্তু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী বা ধংসাত্বক কোন কর্মকান্ড করলে বিপদ আছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ছাত্রলীগ নেতারা শিবিরের ৫ নেতা-কর্মিকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এক পর্যায় কলেজ অধ্যক্ষকে দিয়ে একটি মামলাও করানো হয়। এদিকে ২৪ এপ্রিল শিবির নেতা-কর্মিরা আদালত থেকে  জামিনে মুক্তি পেয়ে ছাত্রলীগের ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। অন্যদিকে ২৩ এপ্রিল কলেজে অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর এখনো কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা নেয় নি ।