গৌরনদীতে ভন্ড পীড়ের আস্তানায় বিক্ষুদ্ব গ্রামবাসীর হামলা | ভাংচুর আহত ২০

২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মৃত মালেকের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও মেয়ে আয়শা আক্তার হালিমের অসামাজিক কাজে বাধা দেন। এ নিয়ে বিরোধের পর হালিমকে ঝাড়ু–পেটা করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এর পর থেকে মৃত মালেক শাহর কবর স্থান থেকে ২শত গজ দুরে আদ্বুল হালিম নিজ বাড়ির বসত ঘরে মালেক শাহর নতুন মাজার শরীফ তৈরী করেন। সেখানে নিজেকে গদীনশীন পীর আখ্যা দিয়ে কথিত ভক্তদের নিয়ে প্রতারনা ও অপকর্ম চালায়।

গত ১৩ এপ্রিল স্থানীয় আনোয়ার হোসেন, মন্নান ফরাজি, গৌরনদী থানা জামে মসজিদের ইমাম কারী আব্দুল আজিজ ওই আস্তানায় গিয়ে হালিমকে এহন কাজ থেকে বিরত থাকার আহবান জানায়। এতে হালিম খিপ্ত হয়ে তার সমর্থকদের নিয়ে তাদের কে লাঞ্চিত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার(১৩ এপ্রিল) সন্ধায় ওই আস্তানায় গ্রামবাসি ও বিক্ষুদ্ব জনতা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। হামলাকারীরা আস্তানার আসন ঘড়, বসত ঘড়, দান বাকস ভেঙ্গে চুর মার করে দেয়। এসময় প্রতারক হালিমের ভক্ত আবুল কাসেম(৬০) সুফিয়া বেগম(৫৫) রজিনা আক্তার (১৬) শওকত খলিফা(৪০) মাইনুদ্দিন(৩০) সেকেন্দার সরদার(৬০) সবুজ মৃধা(২৫) পলাশ আকন(১৫) সিরাজ হাং (২০)সহ ২০ জন আহত হয়।

এ প্রসংঙ্গে ভন্ড পীর হালিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি মালেক শাহর দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদম ও গদীনশীন দাবী করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। ভাংচুর ও লুট পাট করে প্রায় ২ লক্ষাধিক মালামাল ও ভক্তদের দেয়া দান বাক্সের ১লক্ষ টাকা লুঠ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি সে মাজারের নামে প্রতারনা করে থাকে। প্রতারকের বিরুদ্বে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয় যেত। হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে।