আর্কাইভ

গৌরনদীতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

অবস্থায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন আহত। ছাঁদের ভীম ভেঙ্গে রড বেরিয়ে গেছে। পুরো স্কুলের দেয়ালে ফাঁটল ধরে হেলে গিয়েছে। ২০০৯ সনে এই বিদ্যালয়ের ছাঁদের ক্ষয়িষ্ণু ভেঙ্গে পরে শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছিলো বিশজন। ওইসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টিকে জরার্জীণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লাশের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বাধ্য হয়েই প্রতিনিয়ত পরিত্যক্ত ভবনে অধিক ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন।

গেরাকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাছিমা খানম জানান, ১৯৯৫ সনে গেরাকুল স্কুলের নতুন ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হয়। নির্মান কাজের গুনগত মান খারাপ হওয়ায় ২০০৯ সনের ১১ জুলাই স্কুলের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনীতে পাঠদানরত অবস্থায় ছাঁদের বীম ধসে পরে দু’শিক্ষকসহ ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলো। এ ঘটনার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই ক্লাশ রুম দুটিকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন। ওইক্লাশ রুম দু’টিতে পাঠদান বন্ধ থাকায় স্কুলে ক্লাশ রুমের সংকট দেখা দেয়। দীর্ঘদিন একই সময় অপর তিনটি ক্লাশ রুমে দু’ক্লাশের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হয়েছে। তাতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটায় বাধ্য হয়েই পরিত্যক্ত ক্লাশ রুমেই এখন ক্লাশ নিতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই স্কুলে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

ওই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক অমূল্য রতন জানান, আষাঢ়ের বর্ষন শুরু হওয়ার পর থেকে পুরো স্কুল ভবনটি হেলে পরে স্কুল ভবনের প্রায় সব খানেই বড় বড় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ছাঁদের ক্ষয়িষ্ণু ভেঙ্গে পরে রড বেড়িয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকেরা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এ অবস্থায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা তাদের কোমলমতি সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী গোলাম হেলাল মিয়া জানান, জরুরি ভিত্তিতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও জরার্জীণ স্কুলটির পুরনো ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মান করা না হলে, আর শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিলে সরকারের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হবে।

গৌরনদী উপজেলা প্রকৗশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন গেরাকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নতুন ভবন নির্মানের আবেদন করে বহু আগেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই নতুন ভবন নির্মান করা হবে।

আরও পড়ুন

Back to top button