নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ব্যবহারে অনুপযোগী

একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ব্যবহারে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তারাও। নির্মাণ কাজ দরপত্রানুযায়ী না হওয়া, অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৯সালের ৩০ডিসেম্বর দরপত্র আহ্বান করলে কাজ পায় মাদারীপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্বপ্ননীল ট্রেডার্স। ৮লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই নবনির্মিত ভবনের কাজ শেষ হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে। উপসহকারী প্রকৌশলী এনামুল কবির এবং কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কমকর্তা মশিউর রহমানের সাথে উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী ইয়াহিয়া খান যোগসাজেশ করে গোপনে চুড়ান্ত বিল তুলে নেয়। নবনির্মিত ভবনে চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা না হলেও সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ ও দেয়াল বেয়ে ভিতরে পানি ঢুকে মেঝে তলিয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টিপাতে ভবনের ভিতরে ৪টি কক্ষেই পানিতে একাকার হয়ে যায়। এ ভবনে বর্ষাকালে কোন মতেই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে না। ভবনের কয়েক স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ফলে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণে সরকারের ৮লক্ষ টাকা ব্যয় সাধারণ মানুষের কোন উপকারে আসছে না। নবনির্মিত ভবনের নির্মাণ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। পুরনো ভবনে নামেমাত্র সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা সিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। ঠিকাদার ইয়াহিয়া খান বলেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে নির্মিত ভবন কালকিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। ছাদ বেয়ে পানি পড়লে আমার কিছু করার নাই। উক্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, আমরাতো জানি ঠিকাদার এখনো কাজ শেষ করেনি। বৃষ্টি হলে ভিতরে যেভাবে পানি জমে তাতে বর্ষায় কোন মতেই নতুন ভবন ব্যবহারের উপযোগী হতে পারে না। তাছাড়া ভবনের পলেস্তারাও ধসে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিযুক্ত ডা. সায়েমা আফরোজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আর আমি ঝুকিপূর্ণ পুরনো ভবনেই চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছি। সরকারের ৮লক্ষ টাকা সাধারণ মানুষের কোন উপকারেই আসলো না। মাদারীপুর জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, ভবনে জল ছাদ নির্মাণ না করায় পানি পড়তে পারে। শীঘ্রই পরিদর্শণ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।