গৌরনদীতে রোপা আমন আবাদের ধুম

আবাদের ধুম পড়েছে। তাই কৃষকের সাথে ক্ষেতমজুরেরাও এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে পৌর এলাকাসহ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের প্রায় আশি হাজার একর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানকার কৃষকেরা ইরি-বোরো মৌসুমে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধান আবাদ করে এ বছর বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন। তাই কৃষকেরা রোপা আমন মৌসুমেও হাইব্রিড আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। তিনি আরো জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে হাইব্রিড ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও ২০ হাজার একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ও ৩০ হাজার একরে স্থানীয় জাতের ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খরা বা বন্যায় রোপা আমনের কোনো ক্ষতি না হলে ইরি-বোরো মৌসুমের মতো রোপা-আমনেও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

উপজেলার গেরাকুল গ্রামের কৃষক সাহানুর বেপারী জানান, এ মৌসুমে তিনি ১২ বিঘা জমিতে আমন আবাদের প্রস্তুতি নিয়ে জমি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ৫ বিঘা জমিতে চারা রোপনও করেছেন। এবছর আষাঢ়ের শুরুতেই বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের আমন চারা রোপনে সুবিধা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলনও ভালো হবে। একই এলাকার ক্ষেতমজুর ইসমাইল শরীফ জানান, এবারের বর্ষায় আমন চারা রোপনসহ অন্যান্য কাজও মিলছে। প্রতিদিন গৃহস্থের বাড়িতে একবেলা খেয়ে তিনি আড়াই’শ থেকে তিন’শ টাকা আয় করছেন বলেও উল্লেখ করেন।

সূত্রমতে, গত বছর আষাঢ়ের শুরুতে পানির অভাবে অনেক কৃষকই জমিতে রোপা আমন চারা তৈরি করতে পারেননি। ফলে আগাম চারা রোপন করাও সম্ভব হয়নি। এবছর আর সেই সমস্যায় পরতে হয়নি এখানকার কৃষকদের। বৃষ্টির কারনে এ বছর ক্ষেতমজুরদের কদরও বেড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, এবারের বর্ষা মৌসুম চাষাবাদের জন্য বেশ উপযুক্ত। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে কৃষকরা ফলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।