গৌরনদী হাইওয়ে থানা ম্যানেজ করে দাপটের সাথে মহাসড়কে চলছে নছিমন

নছিমন নিয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত মোঃ মিজানুর রহমানের তেলেসমতি অব্যহত রয়েছে। ওসির চাহিদা পুরন না হলে অভিযান চালিয়ে অবৈধ নছিমন আটক করা হয়। চাহিদা পুরন করে ছাড়া পেয়েই পুনরায় দাপটের সাথে মহাসড়কে দাবরীয়ে বেরায় এসব অবৈধ নছিমন করিমন। গত এক মাসে তিন বার অভিযোগ চালিয়ে শত শত নছিমন আটক করে তা ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগীদের থেকে জানা গেছে, গৌরনদী ও পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও কালকিনি উপজেলায় প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধ নছিমন ও করিমন রয়েছে। মহাসড়কে এসব অবৈধ নছিমন, করিমন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও গৌরনদী হাইওয়ে থানাকে ম্যানেজ করে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে চলা চল করে থাকে। এলাকাবাসী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারসম্যহীন এসব যানবাহন ব্যস্ততম মহাসড়কে যাতায়াত করায় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। গত ৫ বছরে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক দুর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক নিহত ও ৫ শতাধিক যাত্রী ও পথচারী আহত হয়। তার পরেও থানা ম্যানেজ করার দাপটে ড্যামকেয়ার ভাব নিয়ে মহাসড়কে নছিমন, করিমন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। নছিমন চালক উজিরপুর উপজেলার আব্দুল আজিজ, আগৈলঝাড়া উপজেলার আবদুল মালেক, গৌরনদী উপজেলার কবির হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, মহাসড়কে যাতায়াত করতে গৌরনদী হাইওয়ে থানার দায়ীত্ব প্রাপ্ত মোঃ মিজানুর রহমানকে নিয়মিত ভাবে মাসিক মাসোহারা দিতে হয়। কখন কোন কারনে তার দাবী পুরনে কমতি হলে তখনই নছিমন, করিমনের বিরুদ্ধে অভিযান চালান এবং আটক করা হয় এসব যানবাহন।

চালকরা আরো জানান, গত এক মাসে তিনবার অভিযান চালিয়ে দফায় দফায় শতাধিক গাড়ি আটক করার পর তাদের সাথে কথা বলে দাবী পুরন করে ছাড়িয়ে নেয়া হয় এসব গাড়ি। এসময় আব্দুছ ছত্তার নামে একজন নছিমন চালক রসিকতা করে বলেন, আরে আমরাতো অবৈধ, তাই গিভ এন্ড টেইকে মহাসড়কে আমাদের চলতে হয়। অভিযোগের ব্যাপারে গৌরনদী হাইওয়ে থানার দায়ীত্ব প্রাপ্ত মোঃ মিজানুর রহমান জানান, থানা ম্যানেজ করার বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা এবং মনগড়া কথা। ব্যাবসায়ীদের কথা চিন্তা করে কিছু নছিমন, করিমন চলতে অনুমতি দেয়া হয়েছে মাত্র।