বর্ষা মৌসুমে ছাতার কদর

উপজেলার বন্দর ও হাট-বাজারের দোকানগুলোতে ছাতা বিক্রি ও পুরনো ছাতা মেরামতের হিড়িক পড়ে যায়। এবারো তাই হয়েছে। ইতোমধ্যে ছাতা মেরামতকারীর সংখ্যা বেড়ে এবার দ্বিগুণ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আষাঢ়ের শুরুতেই ছাতার দোকানগুলোতে ছাতা বিক্রির ধুম পরেছে। গ্রাম গঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছাতা ক্রয়ের জন্য ক্রেতারা আসছেন এসব উপজেলার বন্দর ও হাট-বাজারের দোকানে। গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের জননী সুপার মার্কেটের ছাতা ব্যবসায়ী আকবর এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধীকারী রাজু আহম্মেদ জানান, গত বছরের তুলনায় ইতোমধ্যে এবছর তিনি দ্বিগুণ ছাতা বিক্রি করেছেন। ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক ছাতা সরবরাহ করতে না পারায় গত বছরের পুরনো সকল ছাতাও তিনি বিক্রি করেছেন বলেও উল্লেখ করেন। আশোকাঠী বাজারের অপর ছাতা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান নিজামও বলেন একই কথা। তাদের ভাষ্যমতে, স্কুল-কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা রং বেরংয়ের ছাতা কিনতেই বেশি পছন্দ করে। এ বছর কোয়ালিটি অনুসারে সর্বনিম্ন ১’শ থেকে ৭’শ টাকা পর্যন্ত প্রতিটি ছাতা বিক্রি হচ্ছে। গৌরনদী পৌরসভাসহ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের প্রতিটি ছাতার দোকানেই বর্ষার কারনে ছাতা বিক্রি বেড়ে গেছে। ছাতা মেকারদেরও চাহিদা বেড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেশায় না হলেও বর্ষা মৌসুমে ছাতা মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এখানকার দরিদ্র পরিবারের বেকার যুবক, বৃদ্ধ, শ্রমিকসহ অনেকেই। গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের ভুবন খলিফার পুত্র জহুর আলী খলিফা জানান, আষাঢ়ের শুরু থেকে তিনি বাটাজোর বন্দরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রাম ঘুরে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন। বর্ষার কারনে মৌসুমী পেশা হিসেবে এখন তার প্রতিনিয়ত চার থেকে পাঁচ’শ টাকা আয় হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।