উজিরপুরের মালিকান্দায় সংখ্যালঘু বিধবার বাড়ী দখল

ক্ষীরোদ চন্দ্র সিকদারের বিধবা স্ত্রী অঞ্জলী রানীর ক্রয়কৃত বাড়ী ঘর ৫জুলাই প্রকাশ্যে দিবালোকে স্থানীয় ভুমিদস্যু রুস্তম আলী সিকদার সহ তার লাঠিয়াল বাহিনী জবর দখল করে বসবাস শুরু করেছে এমনকি  ঐ সংখ্যালঘু বিধবা মহিলাকে শারিরীক নির্যাতন করে গ্রাম ছারা করার অভিযোগ পাওয়াগেছে।এ ব্যাপারে বিধবা অঞ্জলী রানী তার বাড়ী ঘর থেকে অবৈধ দখল দারদের উচ্ছেদ করে সম্পত্তি ফেরৎ পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছে। সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে প্রায় ২০ বছর পূর্বে সুকুমার মন্ডলের কাছথেকে বিধবার স্বামী  ক্ষীরোদ চন্দ্র সিকদার ১৬ শতাংশ জমি বায়না চুক্তি করে। সুকুমারের দুই পুত্র সুনিল ও পুনিল প্রায় ২৫ বছর পূর্বে ভারত চলে যায়। এদিকে সুকুমারের দুই মেয়ে রেখা ও তৃষ্ণা মন্ডলের বিয়ে হয়ে যায়। বাবার মৃত্যুর পরে রেখার নজর পরে পৈত্রিক সম্পত্তিতে। গত ৬ মাস পূর্বে জমি বিক্রি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কারন হিসাবে এলাকাবসী জানায় তার ভাইয়েরা ভারতের নাগরিক।  তাই কিছুদিন পূর্বে ভুয়া ভাই সাজিয়ে ভারতের বাসিন্দা সুনিল, পুনিলের কাছ থেকে জমির দলিল নেয় মর্মে কাগজ তৈরি করে এভাবে সে গত ৪ জুলাই সেই জমি উপজেলার মালিকান্দা গ্রামের মজিদ বেপারীর পূত্র রুস্তম বেপারীর কাছে বিক্রি করে।

এদিকে বিধবা অঞ্জলী রানীর বাড়গির অবৈধ দখলকে কেন্দ্র করে ঐ গ্রামে নিন্দা ও কেক্ষাভের ঝড় বইছে। জমি পুনঃরুদ্দার  না হলে উপজেলা  হিন্দু বৌদ্দ খৃষ্টান  ঐক্য পরিষদ দখলদারদের বিরুদ্দে আন্দোলোনের ডাকদেবেন বলে হুশিয়ারী করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয় সিন্ধু তালুকদার বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অফিসার ইন-চার্জকে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এত ঘটনার পরে ও বিধবাকে রক্ষা করার জন্য থানা পুলিশের উল্লেখযোগ্য কোন ভুমিকা না থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোপ বিরাজ করছে।