দক্ষিনাঞ্চলের চিনির মোকাম ঝালকাঠিতে তীব্র সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে

সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যাতে আগামী রোজা ও ঈদে বেশী মুনাফারা লাভে গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা হাতে রেখেছে বড় ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি চিনির খুচরা মূল্য ৬০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় দাড়িয়েছে। সরবরাহ না থাকার অজুহাতে ঝালকাঠির ছোট দোকানীরা আরো বেশী সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। রোজা ও ঈদকে সামনে রেখেই এ সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ। এদিকে চিনির পইকারি বিক্রেতারা চিনির সরবরাহ না থাকার অজুহাত তুলে আগামী ১৫ দিন এ সংকট থাকবে আশ্বাস দিচ্ছেন ক্রেতাদের।

দেশের অন্যান্য বাজার গুলোতে চিনির বাজার স্থির থাকলেও এখানকার বাজার বাড়তির কারন হিসেবে খুচরা বিক্রেতা কালা চাঁন বনিক সাংবাদিকদের জানান, দৈনন্দিন ঝালকাঠিতে চিনির বাজার  বাড়ছেই। বড় পাইকাররা টেলিফোনে খবর নিয়েই বাড়িয়ে দিচ্ছে চিনির দর। আবার অনেকে ইন্টারনেটে দর দেখেই দাম বাড়াচ্ছে। প্রশাসনের কারো চিনির পাইকারদের ওপর নিয়ন্ত্রন আছে কিনা তিনি সন্দেহ করেন। তিনি আরো জানান, ঝালকাঠিতে ১০ জন বড় পাইকার চিনির বাজার নিয়ন্ত্রন করছে। এরা অল্প দামে চিনি গুদামজাত করলেও মিল গেট এবং ঢাকায় দাম বাড়ার সাথে সাথে এখানে দাম বাড়াচ্ছে। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, ঝালকাঠি চিনি সিন্ডিকেট এসকল সংকট সৃষ্টি করেছে। সরবরাহ কমের অজুহাতে গুদামজাত চিনি অধিক দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লুটছে পাইকাররা। তারা চিনির সরবরাহ নেই বললেও প্রতিদিন ঝালকাঠি থেকে ট্রাকে চিনি কিভাবে অন্যত্র পাঠাচ্ছে তা তদন্ত হোক। চিনি ব্যবসায়ীরা জানান, তুলনামূলক ঢাকার চেয়ে ঝালকাঠিতে চিনির দাম কম। তাই এখান থেকে প্রায় ১৫/১৬টি জেলায় চিনি যাচ্ছে। এরমধ্যে ফরিদপুর, খুলনা, টরকি বন্দর, বরগুনা, আমুয়া, পটুয়াখালি, খেপুপাড়া ও কাঠালিয়া উল্লেখযাগ্য।

এব্যাপারে ঝালকাঠি চিনির পাইকার ইকবাল ব্রাদার্সের রনি জানান, দেশে চিনির উৎপাদন না থাকায় সরবরাহ কম। চাহিদার তুলনায় চিনি পাওয়া যাচ্ছেনা। গত বুধবার আমি ৬১/৬২ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করেছি। অপর পাইকার সুভাষ বনিক জানান, একই দিন পাইকারি প্রতি কেজি ৬৪ টাকা বিক্রি করেছি । আরো প্রায় ১৫ দিন চিনির বাজার এরকম উর্ধ্ব গতি থাকবে। চিনির সরবরাহ না থাকা এবং রোজার বাজার সামনে থাকায় ঝালকাঠিতে সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছে। তার গুদামেও এ মূহুর্তে পর্যাপ্ত চিনি নেই বলে জানান।

খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ ইতিপূর্বে রমজানের শুরুতে ঝালকাঠিতে এ সিন্ডিকেট চিনি গুদামজাত করে সংকট সৃষ্টি করেছিলো। সাংবাদিকদের সহায়তায় গোয়েন্দা বিভাগ বিপুল পরিমান অবৈধ চিনি আটক করলেও পরে অজ্ঞাত কারনে তা ছেড়ে দেয়া হয়। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে এবারো সিন্ডিকেট একই প্রক্রিয়ায় চিনি গুদামজাত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু কোন নজরদারি নেই। ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম আহবায়ক আহমেদ আবু জাফর চিনি সংকটের ব্যাপারে বলেন, মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সংস্কৃতি উৎসবকে পূজি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের এধরনের আয়োজনের ব্যাপারে সরকারের বাজার মনিটরিং সেলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।