বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মচারীর ক্ষমতার দাপট

তার পরিবারের সাত সদস্যর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশের গ্রেফতার আতংকে গত পাঁচদিন ধরে ওই পরিবারের সদস্যরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে ভুক্তভোগীরা প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাহেরঘাট গ্রামের আনন্দ মোহন মজুমদারের কন্যা আখিঁ মজুমদারের (১৯) সাথে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই গ্রামের কুট্টিশ্বর বাড়ৈর পুত্র পরিতোষ বাড়ৈর (২২)। প্রেমের সম্পর্কে গত ৯ জুলাই তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।
পরিতোষের পিতা কুট্টিশ্বর বাড়ৈ জানায়, তার পুত্র পরিতোষ ও আখিঁ গত ৯ জুলাই পিরোজপুরের কালীবাড়ি মন্দিরে হিন্দুরিতী অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে। তিনি আরো জানান, ওইদিন রাতে আখিঁর পিতা আনন্দ মোহন সামাজিক ভাবে বিবাহের কথা বলে কৌশলে পরিতোষ ও আখিঁকে বরিশাল নিয়ে আসেন। বরিশাল এসে তার (আনন্দ মোহনের) ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে পরিতোষকে বেধম মারধর করে আহত করা হয়। জ্ঞানশূণ্য অবস্থায় পরিতোষকে ফেলে রেখে আখিঁকে তার পিতার হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অপরদিকে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য গত ১৪ জুলাই আনন্দ মোহনের ভাই সুমন্ত মজুমদার বাদি হয়ে উজিরপুর থানায় পরিতোষসহ তার পরিবার ও নিকট আত্মীয়-স্বজনদের আসামি করে হামলা ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে পুলিশের গ্রেফতার আতংকে ওই পরিবারের লোকজন এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম জমাদ্দার, আলাউদ্দিন হাওলাদার, আলো রানী, নিমচাঁদ দেউরিসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, মোরা বাড়ির পাশের মানু। হামলা, লুটপাট বা চাঁদাবাজির মতো কিছু ঘটনা মোগো এলাকায় ঘডেনি। ঘডলে মোরাতো জানতাম।
ভুক্তভোগী পরিতোষের পরিবার মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।