জাপা নেতৃবৃন্দের দাবি কৌশলে এড়িয়ে গেলেন এমপি আমু

ও সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু ঝালকাঠিতে ইমেজ পুনরুদ্ধারের জন্য মাঠে নেমেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েন। গতকাল হঠাৎ এমপিকে নিয়ে ছাত্রলীগ একাংশের মোটর শোডাউন শহরবাসির মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দিনভর ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারী ৬টি কর্মসূচীর মধ্যে একই মঞ্চে ৪টি অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। বাকি দুটি কর্মসূচীর মধ্যে বিকেলে ষ্টেডিয়াম মাঠে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ও বিকেলে জেলা জাতীয় পার্টির সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর এমপি’র ঝালকাঠিতে আগমনে দলের বড় একটি অংশের নেতা-কর্মীদের সকল কর্মসূচীতে উপস্থিতি ছিল চোখে না পড়ার মত। আজ বৃহস্পতিবার তিনি সংসদীয় আসনের নলছিটিতে সকাল থেকে ৪টি কর্মসূচীতে অংশ নেবেন বলে জানাগেছে।

জানাগেছে, বিগত পৌরসভা নির্বাচনকালে দলীয় কোন্দলের কারনে ঝালকাঠি সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে সংগঠিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি এলাকায় অনেকটা জনপ্রিয়তা হারিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পরেন। আর সেই থেকেই এমপি আমুকে এলাকার উল্লেখযোগ্য কর্মসুচীতে তেমন একটা চোখে পড়ে না বলে স্থানীয় লোকজনের অভিমত।

সুত্রমতে, ২০০১ সালে জাপা’র সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব জুলফিকার আলী ভূট্টোর মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে তিনি ৯ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হন। পরে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীত্ব লাভ করে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক সাড়া ফেলেন। ২০০৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি জুলফিকার আলী ভূট্টোর সহ ধর্মীনি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টোর কাছে হেরে যান। পরবর্তীতে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের কথা অনেকটা বেমালুম ভুলে গিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীক হয়ে দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারন মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যান।

বিগত নির্বাচনে এ আসনের ভোটাররা তাকে দক্ষ দেখে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু এলাকার সাধারন মানুষের সাথে তিনি একটি বারও বৈঠক করে জানতে চাননি সুবিধা-অসুবিধার কথা। পাশাপাশি মহাজেট সরকারের শরীকদল জাতীয় পার্টির খোঁজ খবর না নেয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা সরকারের কর্মকান্ড থেকে অনেকটা নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। গতকাল বিকেলে স্থানীয় সানাই কমিউনিটি সেন্টারে এমপিকে দেয়া সংবর্ধনা সভায় জাপা নেতা-কর্মীরা মতবিনিময় কালে ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটান। তারা বলেন, নির্বাচনকালে জাপা’র দায়িত্ব এমপি আমু নিলেও নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ আড়াই বছরে তাদের কোন খোঁজ খবর নেয়নি। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আমু জাপা নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন  কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে জনস্বার্থে কোন কিছরু প্রয়োজন হলে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. আলহাজ্ব খান সাইফুল্ল্হা পনির জাপা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিশু না কাঁদলে মা শিশুকে দুধ দেয়না। তিনি জাপা নেতৃবৃন্দের দাবী অনুযায়ী উন্নয়ন কাজে সহযোগি করা হবে বলে আশ্বাস দেন।