পাঞ্জাবি পড়ে এ্যাকশনে বিএমপি’র ওসি সাখাওয়াত

সাখাওয়াত হোসেন টিপু  পুলিশী ড্রেসের পরিবর্তে পাঞ্জাবি পড়ে এ্যাকশনে নেমেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আ’লীগের দু’গ্র“পের মধ্যকার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ওসি সাখাওয়াত পুলিশ সদস্যদের নেতৃত্ব দেন। কিন্তু এই পুলিশ অফিসার পুলিশের পোশাক পরিহার করায় খোদ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য অভিযোগ রয়েছে সাখাওয়াত পুলিশী পোশাকের পরিবর্তে বেশির ভাগ সময়ই সাদা পোশাক পরিহিত থাকেন।

বিমান বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) এনাম জানান দ্বায়িত্ব পালনকালে পুলিশের নির্ধারিত পোষাক পড়তেই হবে। তিনি জানান বিমান বন্দর থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন প্রায় সময়ই সাদা পোষাক পরিধান করছেন। শুক্রবার ছয়মাইলে আ’লীগের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের সময়ও ওসি সাখাওয়াত সাদা পোশাকে ছিলেন।

ওসি সাখাওয়াত হোসেন টিপু জানান শ্রমিকলীগ নেতা আফতাব হোসেন ও তার সমর্থকরা বহর নিয়ে বরিশাল শহরে প্রবেশের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গেছেন। শুক্রবার! এজন্য পাঞ্জাবি পড়া ছিল বলে ওসি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য সাখাওয়াত হোসেন টিপু নেছারাবাদ মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডি এর ছাত্র ছিল। তার ৮ ভাই। এর মধ্যে সাখাওয়াত ৫ নম্বরে। বড় ভাই জেল হত্যা মামলার আসামী বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম মঞ্জুর বাসায় কাজ করত। সেই সুবাদে ১৯৯৩ সালে পিরোজপুর জেলা কোঠায় এসআই পদে চাকুরী পান সাখাওয়াত। মাস দশেক আগে বিমান বন্দর থানায় যোগদানের পর প্রায়ই তিনি সরকারী গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নেছারাবাদে যান। ঘন্টা দুয়েক অবস্থান করে ফের বরিশালে ফিরে আসেন। গ্রামে গিয়ে তিনি আধিপত্য বিস্তার করছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে তার এক ভাই মেম্বর পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে তিনি প্রভাব বিস্তার করে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সমর্থকদের নানাভাবে পুলিশী হয়নারী করেছেন। অভিযোগ রয়েছে সাখাওয়াত হোসেন টিপু পুলিশ বিভাগে চাকুরী জীবনের শুরু থেকে নানাবিধ অন্যায় অপকর্ম ও ঘুষ বানিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৩ বছর ডিএমপিতে চাকুরী করে বাড্ডা নতুন বাজার এলাকায় ৬ তলা বিলাস বহুল বাড়ি নির্মান করেছেন। রাজধানী ঢাকায় চাকুরী জীবনে বিভিন্ন অভিযোগে সাখাওয়াত ৬ বার সাসপেন্ড হন। বিগত তত্তাবধায় সরকারের আমলে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে তিনি দেড় বছর সাসপেন্ড অবস্থায় থাকেন।