ঝালকাঠি নথুল্লাবাদে মাদ্রাসা অধ্যাপকের ঘরে ডাকাতি

মাদ্রাসা অধ্যাপকের বাড়িতে ডাকাতি মামলা শালিস বৈঠকে মিমাংসা করা হয়েছে। বাদীকে একলাখ টাকা ক্ষতিপূরনসহ আসামীদের নিজ খরচে মামলা উত্তোলন করার নির্দেশ দিয়েছে শালিসরা। শুক্রবার দিনব্যাপী ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদে তিন  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ শালিসের আয়োজন করে। বিকেলে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে এ রায় দেয়া হয়।

উল্লেখ্য গত ৩০ এপ্রিল রাতে নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের নৈয়ারী গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো: ইমামুল হক খানের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ডাকাতরা তাকে মারধর করে স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ অভিযোগে গৃহকর্তা বাদী হয়ে বিনয়কাঠি ইউনিয়নের জালালকাঠি গ্রামের সাবেক মেম্বর ফিরোজ আলম খান ,ভাই এনায়েত হোসেন তাপস ও সাখাওয়াত হোসেন খান স্বপনসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোস্তফা হাওলাদার এনায়েত হোসেন তাপসকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে জেলহাজতে রয়েছে। অপর আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে নিজেদের সরকারী দলের লোক জাহির করে শালিস মানাতে বাদ্য করে বাদীকে।

পত্রিকার খবরের একটি সূত্রে জানাগেছে, আসামী সাখাওয়াত হোসেন স্বপনসহ অনান্য ভাই মিলে পিতা মোফাজ্বেল হোসেন খানের বরিশাল নগরীতে খান বোডিং নামে একটি বোডিং ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বোডিংয়ে বরিশাল অঞ্চলের ডাকাত বাহিনী আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ঐ ব্যবসার সাথে ভাই তাপসও ফিরোজ মেম্বরও পার্টনার বলে সূত্রটি জানায়। ফিরোজ মেম্বর বিনয়কাঠিতে সর্বহারা পার্টি করত বলে এলাকায় জনশ্র“তি রয়েছে।

ডাকাতি মামলার শালিস বৈঠকে গতকাল বিনয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার এনামুল হক এলিন, নথুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাসন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মল্লিক উপস্থিত ছিলেন বলে জানাগেছে। শালিসদারদের একটি সূত্র জানিয়েছেন, এক লাখ টাকার ২৫ হাজার টাকা মওকুফ করা হয়েছে। বাকী টাকা বাদী বরাবরে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাদী পরিবারের একটি সূত্র দাবী করেছে চাপের মুখে তাদেরকে শালিস মানতে বাধ্য করা হয়েছে।