বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করে ১৬ দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না- মির্জা ফখরুল

থাকতে পারবেন না বলে হুসিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এরশাদের শাসনামলে তার সঙ্গে আতাত করে নির্বাচন করে ১৬ মাস ক্ষমতায় ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির উদ্যোগেএ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে এ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম-মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান ও মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমা খালেদা জিয়াকে নয়, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া এবং অতীতের কুর্কমের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের গত আড়াই বছরে সরকার কোনো দ্রব্যের মূল্য কমাতে পারেনি। প্রতিটি পণ্যের দাম আকাশচুম্বি, মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যে জনগণের নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে।

মির্জা ফখরুল বলেন,রাষ্ট্রীয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে দেশের রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজসহ সকল মানুষের মত উপেক্ষা করে ৫১ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করা হয়েছে। এর প্রতিটি অনুচ্ছেদ স্ববিরোধী।

তিনি বলেন, সংবিধানে এমন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে যা নিয়ে কথা বললেই ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। এ রকম একটি সংবিধানের জন্য তিরিশ লাখ লোক রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করে নাই।

পঞ্চদশ সংশোধনীর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে প্রবীণ, জ্ঞাণী ও গুণি আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেছেন-এ সংবিধান বেশি দিন টিকবে না।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আর বসে থাকার সময় নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচন্ড হুঙ্কারে জানিয়ে দিতে হবে- পঞ্চদশ সংশোধনী মানি না।

জাতীয়বাদী শক্তি ও জিয়া পরিবার ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হচ্ছে। তার আগে কিছু প্রশ্নের জবাব আপনাদের (আওয়ামী লীগ) দিতে হবে। কেন সেদিন মুক্তাঙ্গনের সমাবেশ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে  নেয়া হয়েছিল? খালেদা জিয়া বিদেশ থেকে যে তদন্ত টিম এনেছিলেন তাদের কেন বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করা হয়নি? বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজ কোথায়?

তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রথম ওয়াদা ছিল দ্রব্যমূল্য কমাবে, গ্যাস বিদ্যুৎ পানি সমস্যার সমাধান করবে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেনি। সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সরকারের উচিত পদত্যাগ করা।