ছাত্রলীগ নেতারা আটক করেছে যুবলীগ নেতাদের ফেনসিডিল

ধর্মী ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করেছে যুবলীগ নেতাদের ৩০ বোতল ফেনসিডিল। এসময় একজন ক্রেতাকেও আটক করা হয়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নেতারা উদ্ধার করা ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটককৃতকে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে।

পৌর ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মাহবুল খান জানান, দীর্ঘদিন থেকে পৌর যুবলীগ নেতা ও পৌর নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ তুহিন সরদার ও যুবলীগ নেতা কাওসার হোসেন দক্ষিণ পালরদী মহল্লায় মাদকের রমরমা বানিজ্য করে আসছে। তারা দু’জনেই গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম খানের ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ায় এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তারা দু’জনেই গৌরনদীতে একক কাওসার-তুহিন নামে পরিচিত। সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলাকাবাসির সহায়তায় পৌর সদরের সরকারি গৌরনদী কলেজের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছাত্রাবাসসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় ওৎপেতে থাকে। একপর্যায়ে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে ওইদিন রাত দেড়টার দিকে যুবলীগ নেতা কাওসার-তুহিন ও তাদের সহযোগীরা ছাত্রাবাস এলাকা অতিক্রমকালে ওৎপেতে থাকা ছাত্রলীগ নেতারা তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে কাওসার-তুহিনসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ছাত্রলীগ নেতারা স্থানীয়দের সহায়তায় ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ একজন ক্রেতাকে আটক করেছে। পরবর্তীতে উদ্ধার করা ফেনসিডিলসহ আটককৃতকে গৌরনদী থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। আটককৃত যুবক জানিয়েছেন তিনি কাওসার-তুহিনের কাছ থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

ছাত্রলীগ নেতাদের এ মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের ন্যায় স্ব-স্ব এলাকার সচেতন জনগন এগিয়ে আসলেই সমাজ থেকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব হবে।